পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে মিলল রায়। লাউডস্পিকারে আজান কোনও ভাবেই অন্য ধর্মের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে না, সাফ জানিয়ে দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান বাজানোর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল আদালত।
উল্লেখ্য,বেশ কয়েক মাস আগে লাউডস্পিকার বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সমগ্র দেশ।মসজিদ, দরগার মতো মুসলিম ধর্মস্থানগুলি থেকে লাউডস্পিকার সরানোর দাবিতে সরব হয়েছিল বেশ কয়েকটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল। শুধু তাই নয়, লাউডস্পিকারে হনুমান চাল্লিসা চালানোর হুমকিও দেয় তাঁরা।
এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তৈরি হয়েছিল অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।সব থেকে বেশি অশান্তি ছড়ায় কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায়। তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল কর্ণাটকেও। এমনকি চাপের মুখে পরে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিল সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সেই নির্দেশিকাতে জানানও হয়েছিল,লাউডস্পিকার বা ওই ধরনের কোনও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে গেলে অন্তত ১৫দিন আগে স্থানীয় প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিতে হবে।
পাশাপাশি মসজিদে আজান বা প্রার্থনা করার ব্যাপারেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাই। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মঞ্জুনাথ এস হালাওয়ার লাউডস্পিকারে আজান বাজানো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন৷কর্নাটক হাইকোর্টের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি অলোক আরাধের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়৷
পিটিশনে বলা হয়েছিল, ‘আজান দেওয়া বা নামায আদায় করা মুসলিমদের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় আচার।কিন্তু আজানের বিষয়বস্তু অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাসীদের ক্ষতি করছে’। এদিনের শুনানিতে কোর্টের পক্ষ জানানও হয়েছে, আর্টিকেল ২৫ ও ২৬ সহনশীলতার নীতিকে সক্রিয় করে এবং আর্টিকেল ২৫ (১) অনুযায়ী যেকোনও ধর্মের মানুষ তাঁর ধর্ম পালন করতে পারেন।সুতরাং মাইকে আজান বাজলে সেটি অন্য কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এটি সম্পূর্ণ ভুল কথা এবং এটি মেনে নেওয়া হবেনা।