পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রত্যাশামাফিক বিহারে আস্থাভোটে জয়ী হল আরজেডি-জেডি-( ইউ) কংগ্রেস- বাম- হাম জোট।জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২টি ভোট। আস্থা ভোটে অংশ নিলেও নীতীশের বিরুদ্ধে “ রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা”র অভিযোগ তুলে ওয়াকআউট করে বিজেপি।
বুধবার শুরু থেকেই পটনা বিধানসভায় ফ্লোরটেস্টের আগে থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। নীতীশের বক্ত্যবের মাঝেই ওয়াকআউট করে বিজেপি।অধিবেশন শুরুর আগেই ইস্তফা দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য দু সপ্তাহ আগেই বিজেপি বিধায়ক বিজয়কুমার সিনহার ইস্তফার দাবি তোলেন মহাগঠবন্ধনের বিধায়করা। শেষ পর্যন্ত আস্থাভোট নেওয়ার আগেই ইস্তফা দেন বিজয়কুমার।
এইদিন ধ্বনি ভোটে জয়ীহন নীতীশ। এইদিন নীতীশের পক্ষে ভোট পড়ে মোট ১১০টি।
অন্যদিকে জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই নিজের বক্তব্যে বিজেপিকে একহাত নেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপির একটাই কাজ হচ্ছে নিজেদের ঢাক পেটানো। আমরা এইহেন আচরণে হতাশ। তাই আমরা আরজেডির হাত ধরেছি।
এইদিন নীতীশ আরও বলেন “ আমরা রাজ্যের উন্নতিতে কাজ করে যাব, দেশের স্বাধীনতায় বিজেপির কি অবদান আছে? ওরা শুধু দেশের মধ্যে ঝামেলা পাকাচ্ছে।”
তবে একা নীতীশই নন এইদিন তেজস্বী যাদবও বিজেপি কে একহাত নেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাড়বাড়ন্ত নিয়েও তোপ দাগেন লালু পুত্র।
তেজস্বী বলেন “ ইডি, আয়কর বা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বিহারের যেকোন বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করুন তারাও বলবে এজেন্সি বিজেপির হয়ে কাজ করছে”। তেজস্বী বলেন “ আমাদের এই জোটের কোন শেষ নেই, এটা হতে চলেছে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ইনিংস, বিহার তথা দেশের জন্য এই জোট কাজ করে যাবে”
বিজেপির সঙ্গে জোটসঙ্গী হিসেবে বিচ্ছেদের পর ১০ অগস্ট ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নীতীশ।উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সেই সরকারের আস্থাভোট ছিল বুধবার। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় একটি আসন ফাঁকা আছে। গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল। নীতীশ পান ১৬০। বিরোধী দলে পরিণত বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক।