পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ ২৯ জুলাই, বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়।
বন্য বাঘ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে, জঙ্গল নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এখন আরণ্যক’ এর উদ্যোগে আজ নিউটাউন রাজারহাটের নজরুল নজরুল তীর্থে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে একটি আলোচনা সভা। এছাড়াও থাকছে দশ জন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারের তোলা ছবির প্রদর্শনী। সহযোগিতায় হিডকো’। সময় দুপুর দুটো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নারী ও শিশু কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী ডক্টর শশী পাঁজা, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, চিত্রনির্মাতা ও সমাজকর্মী শতরূপা সান্যাল, রানী রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডক্টর আশুতোষ ঘোষ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ডক্টর স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী, কর্ণাটক ফরেস্ট বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা সচিকান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পশুর ক্ষেত্রে একটাই নাম বাঘ। এটি সাধারণত বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও নেপাল, ভূটান, মায়ানমারে এই প্রজাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়।এর রাজকীয়তা ভঙ্গিমা একে একটু অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে এটি কতখানি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব তাই নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে চলেছে হিডকোর নজরুল তীর্থে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে বাংলা ভাষায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংক্রান্ত অন্যতম পত্রিকা আরণ্যক ও হিডকোর উদ্যোগে।
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর উপস্হিতি ছাড়াও থাকবেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবশিষ সেন। ওনার মতে এইধরনের সচেতনতা মানুষের খুবই প্রয়োজনীয়।
রানী রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বাঘের সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করবেন। বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী আলোচনা করবেন বাঘ বাঁচাতে ম্যানগ্ৰোভ সংরক্ষণের গুরুত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে রাশিয়ায় প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে বাঘ বিপন্নতাকে সামনে রেখে বাঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ ১২ বছরের মধ্যে নিজ নিজ দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল। এর মধ্যে নেপাল বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সেই লক্ষ্য থেকে দূরে আছে।