নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই: কোভিড প্রতিষেধক নিয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গকে যেন জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়া হয়। মুখোমুখি বৈঠকে মমতার এক অনুরোধই বেশ ম্যাজিকের মতো কাজ করল। একধাক্কায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভ্যাকিসনের আরও আরও ২১ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে নবান্ন সূত্রে৷ আরও জানা গিয়েছে, চলতি মাস শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যে করোনা টিকার এই বিপুল সংখ্যক ডোজ এসে পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনগুলির ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে, শহরাঞ্চল এবং শহরতলির পাশাপাশি বস্তি এলাকায় এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। একধাক্কায় রাজ্যে ২১ লক্ষ ডোজ টিকা এলে বর্তমানে যে ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যভবন। এতে রাজ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বড়সড় একটি সাফল্য পাওয়া যাবে৷
সূত্রের খবর, এই ২১ লক্ষ ডোজ টিকার মধ্যে সাড়ে ৯ লক্ষ ডোজ বুধবার বিকেলেই এসে পৌঁছেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। চলতি মাসেই বাকি প্রায় ১১ লক্ষ ডোজ টিকা এসে রাজ্যে পৌঁছে যাবে বলেই আশা করছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মূলত দু’টি দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পেয়েছে, তার থেকে আমাদের চাহিদা আরেকটু বেশি। প্রত্যেক রাজ্যই পাক, তাতে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাদের রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে কম ভ্যাকসিন এসেছে। তাঁর দ্বিতীয় দাবিটি ছিল, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের বিষয়টি যেন কেন্দ্রীয় সরকার বিচার করে। দ্বিতীয় দাবির বিষয়টি এখনও চিন্তাভাবনার স্তরে থাকলেও তাঁর প্রথম দাবি শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে রাজ্যে ২১ লক্ষ ডোজ টিকা আসার মাধ্যমে৷