পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপির সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে জানালেন নীতীশ কুমার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নীতীশ জানান, বিধায়ক ও সাংসদের সহমতে এনডিএ ছেড়েছি। বিজেপির সঙ্গে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল।
কয়েকদিন ধরেই বেশ জল্পনা কল্পনা চলছিল। ইদানীং এনডিএ জোটের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে দূরত্ব বেড়েছিল নীতীশ কুমারের। ক্রমাগতই ফাটল স্পষ্ট হচ্ছিল। বিহারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২। ইতিমধ্যেই নীতীশকে সমর্থন করেছে জিতেনরাম। এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর পরই লালু প্রসাদের বাড়ি যান নীতীশ কুমার। সেখানে বৈঠকের পর তেজস্বী, নীতীশ কুমার, চরণদাসকে একসঙ্গে বের হতে দেখা যায়।
২৪৩ আসন-বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় জেডিইউ-র আসনসংখ্যা ৪৫, বিজেপির ৭৭। অন্যদিকে, আরজেডি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের দখলে ১১৬টি আসন। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা ১২২। সুতরাং, বিরোধী জোটের সমর্থনে নীতীশের সরকার গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেউই। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি দল পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে। তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া এসেছে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি-র তরফে। পুরনো তিক্ততা ভুলে তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে বদল চাইছেন বলেও দাবি করেছে জেডি ইউ। বিহারের এই রাজনৈতিক জল কতদূর গড়ায়, সেদিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের।