পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ থাইল্যান্ডের একটি নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্তও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৪১ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে প্রশাসন। দুর্ঘটনার সময় ওই বিনোদনের আসরে কমপক্ষে ৮০ জনের মতো উপস্তিত থাকলেও, ঘটনার পর পর তাদের মধ্যে অনেকেই বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন।
উল্লেখ্য,থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের দক্ষিণ-পূর্বে চনবুরি প্রদেশের একটি নাইট ক্লাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।স্থানীয় সময় শুক্রবার সত্তাহিপ জেলার মাউন্টেন বাই নাইট ক্লাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরে।খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক ও দমকল বাহিনী। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হয় দমকল বিভাগ।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে একতলা নাইট ক্লাবের প্রবেশ পথের সামনে চারজন, বাথরুমে তিনজন, ডিজে রুমের একজন এবং ক্যাশিয়ার রুমের সামনে থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে সকলেই স্থানীয় নাগরিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।তবে প্রাথমিক পর্যায়ে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণেই আগুন লাগতে পারে।
এই ঘটনায় চনবুরি প্রদেশের পুলিশ কর্নেল উত্তিপং সোমজাই সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “রাত একটা নাগাদ আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। দ্রুত সেখানে পৌঁছই।যদিও কী ভাবে আগুন লাগে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর পেয়েছি, মৃত ও আহতরা সকলেই থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। বাইরের কেউ ছিলেন না।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেণ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। নিহতদের পরিবারকে সরকার আর্থিক সাহায্যে করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।