পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গোরক্ষকদের হাতে গণপিটুনির ঘটনা এখন আকছার ঘটে দেশে। এই পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রদেশ,উত্তরপ্রদেশ,বিহার,রাজস্থান ও ঝাড়খন্ডে। সরাসরি গো রক্ষকরা না হলেও সাম্প্রদায়িক বাহিনী অহেতুক পেটাচ্ছে নিরীহদের।মৃত্যুও ঘটছে। তা নিয়ে নিন্দার শেষ নেই। তবে পিটিয়ে হত্যা বন্ধ হয়নি।
মধ্যপ্রদেশে আবার এই একই ঘটনা ঘটেছে।সে রাজ্যে নর্মদাপুরম জেলার ব্রাখাদ গ্রামে ৫০ বছর বয়সী এক মুসলিমকে গো-রক্ষকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
নাজির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর বাসিন্দা নন্দেরওয়াদা নামক একটি গ্রাম থেকে শেখ লালা এবং সাইদ মুশতাকের সঙ্গে ২৮টি গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন একদল গো-রক্ষক ট্রাকটিকে থামিয়ে লাঠি ও রড দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত তিনজনকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। নাজির আহমেদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি দুজনের দেহে একাধিক আঘাত রয়েছে এবং তারা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জখম শেখ লালা বলেন, “৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের উপর হামলা করেছিল। তারা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে বসির আহমদকে হত্যা করে।”
পুলিশ দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে, একটি আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে এবং অন্যটি বেঁচে যাওয়াদের বিরুদ্ধে। বেআইনিভাবে গরু পরিবহনের জন্য বেঁচে যাওয়াদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত এফআইআর-এ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩০৭(খুনের চেষ্টা), ১৪৭ (দাঙ্গা) এবং ১৪৮ (দাঙ্গা, মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত) ধারা দেওয়া হয়েছে।