সফিকুল ইসলাম (দুলাল, বর্ধমানঃ সর্বভারতীয় আইএসসি পরীক্ষায় দেশে দ্বিতীয় স্থান (৯৯.৫ শতাংশ নম্বর) অর্জন করে চমক সৃষ্টি করেছেন বর্ধমান শহরের দুবরাজদিঘির বাসিন্দা রাঈশা পারবীন। একইসঙ্গে গোটা রাজ্যকেও গর্বিত করেছেন মেধাবী রাঈশা। শহরের দুবরাজদিঘির অস্থায়ী ব্যাঙ্ককর্মী রফিকুল ইসলামের একমাত্র কন্যা রাঈশা ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। বর্ধমান হলি রক স্কুলে ইউকেজি থেকে পড়াশোনো শুরু রাঈশার। বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও খালা সামসুন্নেহার, খালু এনামুদ্দিন ও মামা মনিরের অবদানের কথা ভুলতে পারেননি কৃতী রাঈশা ।
রাঈশা আব্বা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ের অদম্য জেদ তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছে রাঈশা। নবী মুহাম্মদ সা. তাঁর আদর্শ। নবীর দেখানো পথেই জীবন গড়ে তুলতে চায় রাঈশা। তিনি আরও জানান, স্কুলের প্রিন্সিপাল সরনাভ সাক্সেনা ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে স্নেহ করে পড়াশোনা করতে এবং উন্নত রেজাল্ট করতে সাহায্য করেছেন। ওর মা উম্মুল হাসেমা বেগমও তাকে প্রতিনিয়ত পড়াশোনা করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। আগামীদিনে সে ডাক্তার হয়ে গরিবের সেবা করতে চায়।’
এ দিকে, ছাত্রীর সাফল্য নিয়ে হলি রক স্কুলের প্রিন্সিপাল সরনাভ সাক্সেনা জানান, ‘রাঈশা ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী এবং অনুগত। এই স্কুলের আরও এক ছাত্রী পুষ্পিতা নাহা দেশে ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়ে স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। এই দুই ছাত্রীর জন্য আমরা গর্বিত।’ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস– স্থানীয় কাউন্সিলর নূরুল আলম, শম্পা ধারা, কাকলি গুপ্ত তা, হলি রক স্কুলের প্রিন্সিপাল,সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিশিষ্টরা রাঈশা ও পুষ্পিতাকে সংবর্ধনা জানান।
স্থানীয় কাউন্সিলার নূরুল আলম বলেন, ‘রাঈশা আমাদের পাড়ার গৌরব বৃদ্ধি করেছে।শিক্ষায় একটি পিছিয়েপড়া এলাকা থেকে এত ভালো রেজাল্ট আগামীতে বহু ছাত্রছাত্রীকে উৎসাহিত করবে, তা জোর দিয়েই বলা যায়।’