পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০১২-২০২২ সালের মধ্যে ভারতে এক হাজারেরও বেশি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে, সমীক্ষায় প্রকাশ। মধ্যপ্রদেশে ৬টি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ২৭০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে ১৮৩, উত্তরাখণ্ডে ৯৬টি, অসম ৭২টি, তামিলনাড়ুতে ৬৬টি, উত্তরপ্রদেশে ৫৬, কেরলে ৫৫টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১২-২০২২ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ সহ গোটা দেশে ১০৫৯টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) সূত্রে খবর, সমীক্ষা অনুযায়ী এই বছর ৭৫টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর সেই তালিকায় ছিল ১২৭টি বাঘ। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে যা সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২০ সালে ১০৬, ২০১৯ সালে ৯৬টি, ২০১৮ সালে ১০১টি, ২০১৭ সালে ১১৭টি, ২০১৬ সালে ১২১টি, ২০১৫ সালে ৮২টি, ২০১৪ সালে ৭৮ টি, ২০১৩ সালে ৮৬ টি, ২০১২ সালে ৮৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে ১৮৩, উত্তরাখণ্ডে ৯৬টি, অসম ৭২টি, তামিলনাড়ুতে ৬৬টি, উত্তরপ্রদেশে ৫৬, কেরলে ৫৫টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশে যথাক্রমে ২৫, ১৭, ১৩, ১১, ১১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে গত দেড় বছরে ৬৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে, মহারাষ্ট্রে ওই সময়ের মধ্যে মারা গেছে ৪২টি বাঘ।
২০১৮ সালের বাঘসুমারি অনুযায়ী ‘বাঘের রাজ্য’ বলে পরিচিত মধ্যপ্রদেশে ৫২৬টি বাঘ হয়েছে, সেখানে কর্নাটকে রয়েছে ৫২৪টি বাঘ। সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১২-২২ সালের মধ্যে চোরাশিকারিদের হাতে মৃত্যু হয়েছে ১৯৩টি বাঘের। তবে ২০২১ সালে জানুয়ারি পর্যন্ত চোরাশিকারিদের হাতে বাঘের মৃত্যুর সংখ্যা এখনও সামনে আসেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক কারণে ১০৮টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি চিতা।
এনটিসিএ রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে বাঘের মৃত্যুর কারণ হিসেবে শিকারের কথাই সামনে এসেছে। তবে ময়নাতদন্ত, ফরেন্সিক ল্যাব থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঘের মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্বাভাবিক মৃত্যু, শিকার ও অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে।