পুবের কলম প্রতিবেদক: টাকার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। এই টাকা কোথা থেকে এসেছে অভিযুক্তরাই বলতে পারবেন। আদালত যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে দল সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, কেন সিবিআই বা ইডি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যায় না। গত শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত কুণাল ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সাধারণত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটু একটু করে এগিয়ে বছরের পর বছর তদন্ত ফেলে রাখে আর রাজনৈতিক দলকে কালিমা লিপ্ত করে।
সে কারণেই কুণাল ঘোষের দাবি, দ্রুত তদন্তের কাছে শেষ করতে হবে। এক দু মাসের মধ্যেই দোষী কারা খুঁজে বের করুন। আর যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসও দলীয়ভাবে নিজেদের কাজ করতে পারবে।
এদিন আরও একবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কোনভাবেই দল এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। যারা এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিগতভাবে দায় নিতে হবে তাদেরই। বিরোধীদের তরফ থেকে সামগ্রিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এর কড়া নিন্দা করে কুনাল বলেন, বিরোধীদের কোনভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নিন্দা করা প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতির অতএব তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।
এদিন আরও একবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ নেই জানিয়ে দিয়েছেন কুনাল ঘোষ। বরং তার দাবি, নোট বাতিলের পর এত বিপুল টাকা একজনের বাড়িতে কীভাবে এল, তার তদন্ত হওয়া দরকার। কিন্তু তদন্ত তো অনন্তকাল চলতে পারে না। ইডির কাছে আমাদের দাবি, একমাস বা দু’মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ হোক। আদালতে চার্জশিট পেশ করে কারা দোষী, তা দ্রুত প্রমাণিত হোক। দলের তরফেও বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদিও সত্যিই দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে।
একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতার নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। কুণাল ঘোষের কথায়, একই দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য ফিরহাদ হাকিমকে সিবিআই গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে কোনও তদন্তের মুখেই পড়তে হচ্ছে না। এর চেয়ে বড় দ্বিচারিতা কিছু হতে পারে না।