পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদের বিলারি তহসিলের এসডিএম ঘনশ্যাম বর্মার বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। জাহিদ আহমেদ নামে একজন আসবাব ব্যবসায়ী এসডিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে এসডিএম ঘনশ্যাম বর্মা তার শোরুম থেকে ২.৬৭ লাখ টাকার আসবাবপত্র নিয়েছিলেন, কিন্তু যখন তিনি আসবাবপত্রের জন্য টাকা চেয়েছিলেন, তখন এসডিএম তার বাড়িটিকে অবৈধ বলে তাতে বুলডোজার চালিয়ে দিয়েছেন। ওই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুরাদাবাদের ডিএম।
মুরাদাবাদের বিলারির বাসিন্দা জাহিদ আহমেদ ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। বিলারিতেই ‘আশীর্বাদ ফার্নিচার’ নামে তার একটি দোকান রয়েছে। জাহিদ আহমেদ মুরাদাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কমিশনারকে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেছেন, ‘বিলারির এসডিএম ঘনশ্যাম বর্মা তার আসবাবপত্রের শোরুমে আসবাবপত্র পছন্দ করে গিয়েছিলেন। এসডিএমের পছন্দের আসবাবপত্র তিনি তার বিলারি এবং মুরাদাবাদের বাসভবনে পাঠিয়েছিলেন। আসবাবপত্রের দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। তিনি আসবাবপত্রের বিল পাঠিয়ে টাকা চাইলেও কোনো উত্তর দেননি এসডিএম।
অভিযোগপত্রে জাহিদ আহমেদ আরও বলেছেন, ‘৫ জুলাই আবারও এসডিএম তার শোরুমে এসে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার আসবাবপত্র পছন্দ করেন। এই আসবাবপত্র তিনি তার মেয়ে অলকা বর্মার কাছে হারদোইতে গাড়িতে করে পাঠিয়েছিলেন। আসবাবপত্র পৌঁছানোর পর তিনি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার বিল নিয়ে এসডিএমের কাছে গেলে এসডিএম ঘনশ্যাম ভার্মা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
আসবাবপত্র ব্যবসায়ী জাহিদ আহমেদ এসডিএম কর্তৃক বিল পরিশোধ না করার বিষয়ে মুরাদাবাদের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন এবং এসডিএম ঘনশ্যাম বর্মা শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করার বিষয়ে অবগত ছিলেন। এর পরে, এসডিএম ঘনশ্যাম ভার্মা ৭ জুলাই জাহিদ আহমেদের বাড়িটিকে অবৈধ বলে ভেঙ্গে ফেলার নোটিশ পাঠান এবং ১০ জুলাইয়ের মধ্যে নিজেই দখল অপসারণের নির্দেশ দেন। ১২ জুলাই সন্ধ্যায় তহসিলদারসহ প্রশাসনিক দল একটি বুলডোজার নিয়ে আসবাব ব্যবসায়ী জাহিদ আহমেদের বাড়িতে পৌঁছায়। বুলডোজার দিয়ে জাহিদের বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু |উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে অবশেষে বুলডোজার অভিযান বন্ধ করা হয়।
মুরাদাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শৈলেন্দ্র সিং গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একজন ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, এসডিএম তাকে কাজ করিয়ে টাকা দেননি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এটি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি তদন্ত করছেন। তদন্তে যে তথ্য আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত এসডিএম ঘনশ্যাম বর্মা তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, জাহিদ আহমেদ পুকুর দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন। এরপর নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও দখল না সরানোয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।