পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় সহিংসতার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বেসরকারি সাহায্যকারি সংস্থা ও ট্রাস্টি আধিকারিকরা।
রবিবার ১৭ জুলাই নাড়াইল পরিদর্শন করতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, অশান্তি ইসলাম অনুমোদন দেয় না। ইসলাম শান্তির প্রতীক। প্রতিবাদের নামে নিরীহ, অসহায় মানুষদের ক্ষতি করার কথা ইসলাম কোনও দিন বলেনি।
ধর্ম অবমাননার যেই ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি নিঃসন্দেহে অপরাধমূলক একটি কাজ।তাঁর জন্য আইন আছে। আপনি চাইলে প্রতিবাদ করুন। কিন্তু প্রতিবাদের নামে সহিংসতা,আম জনতার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ইসলাম অনুমোদন দেয় না।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ইসলামিক নাম থাকলেই আল্লহর বান্দা হওয়া যায়না। কোনও সজ্জন মুসলিম এই ধরণের কাজ করতে পারে না। যারা প্রতিবাদ আর নবী (সা.) কে ভালোবাসার নামে সহিংসতার পথ বেছে নেয়। তারা আর যাই হোক, সজ্জন ব্যক্তি হতে পারে না।
মুসলমান যদি সজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম। এই কাজ গুলি বিকৃত মস্তিষ্কের কিছু মানুষ করে। যাদের সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই। তারা এক কথায় অধম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ফেসবুকে পোস্ট করা একটি মন্তব্যকে ঘিরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী।
এমনকি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু ঘর ও বাড়ি। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে রবিবাই ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি ঘর পরিদর্শন করেন, বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। এমনকি ক্ষতিগ্রস্থদের ঘরবাড়ি মেরামত করা সহ তাদের আর্থিক ভাবে সাহায্যে করা ও নিরাপত্তা প্রদান করার কথা বলেও আশ্বস্ত করেন তারা।