পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা বন্যায় প্লাবিত হলেও অনাবৃষ্টির কারণে রীতিমত খরা দেখা দিয়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে। শুকিয়ে গিয়েছে খাল, বিল এমনকি নদীর জলও। অনাবৃষ্টির জেরে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে ফসলের জমির মাটি। সেই মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। জলের অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলের মাঠ। জলের কারণে কৃষকের আমন ধান রোপণের সময় বিলম্ব হওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সেচ পাম্প দিয়ে আমন ধান রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই অনাবৃষ্টি থেকে নিজেদের ফসলকে বাঁচাতে ও বৃষ্টির আশায় গতকাল শনিবার সকাল ৮ টায় বাংলাদেশের সেতাবগঞ্জ পৌর ঈদগাহ ময়দানে জাতীয় ইমাম সমিতি বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জমায়েতে ইসতিগফার এর নামজ আদায় করেন হাজারও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
উল্লেখ্য,প্রতিবছর এই সময় মাঠ-ঘাঠ বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ থাকলেও এই বছরে বৃষ্টির দেখা নেই।সাধারণত আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে এই অঞ্চলের কৃষকরা আমন ধান রোপান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এবছর দিনাজপুর এলাকায় তেমন বৃষ্টিপাত নেই। প্রচন্ড তাপ, তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টিতে একদিকে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে ঠিক তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জীব-বৈচিত্র সহ ফসলের চাষাবাদ। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখছেন কৃষক। এতে ধানের ফলন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
বোচাগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সূত্রে খবর, সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে এই জেলা গুলির মাঠ-ঘাট জলে টইটুম্বর থাকে।এইবার তার ব্যতিক্রম হলে কৃষকদের ফসল রোপণে সমস্যা হচ্ছে।অন্য সময় এই মাসে ইতিমধ্যেই স্থানীয় কৃষকরা আমণ ধান রোপণ করে থাকেন।তবে এইবার বৃষ্টি না হওয়ার জন্য সমস্যায় পড়েছেন তারা।তবে ঠিকমত সেচ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবে তারা। তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। এই জাতের ধান সামান্য একটু দেরি করে রোপণ করলে তেমন কোনও ক্ষতি হয় না।তবে এ ক্ষেত্রে আমরা কৃষদের সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।