পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মহাকাশে নাসার পাঠানো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবার ভিনগ্রহে পানির সন্ধান পেল। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
গ্রহটির ছবিও প্রকাশ পেয়েছে। এই গ্রহটির নাম ডব্লিউএসপি-৯৬। যে ছায়াপথে পৃথিবীর অবস্থান, এই গ্রহটিও সেই একই ছায়াপথের। এখনও পর্যন্ত মিল্কিওয়ে ছায়াপথে ৫ হাজার গ্রহের সন্ধান পেয়েছে নাসা।
নাসা জানায়, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী এই গ্রহটির আকাশে পানিভর্তি মেঘ ও কুয়াশা রয়েছে। তাই এই প্রথম পৃথিবীর বাইরের কোনও গ্রহে পানির সন্ধান পাওয়া গেল।
একই ছায়াপথে অবস্থান হলেও পৃথিবী থেকে বেশ দূরে ডব্লিউএসপি-৯৬। হিসেব অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে ১ হাজার ১৫০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই গ্রহটি। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে আলোর গতিবেগে ছুটলে ডব্লিউএসপি-৯৬’তে পৌঁছতে সময় লাগবে ১,১৫০ বছর।
আলোর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৮৫ কিলোমিটার।
নাসা জানায়, ডব্লিউএসপি-৯৬ গ্রহ হলেও এটিতে মাটি,পাথর বা কোনও কঠিন বস্তুর অস্তিত্ব নেই।
সৌরজগতের গ্রহ শনি, বৃহস্পতি ও ইউরেনাসের মতো এটিও বিশাল, উত্তপ্ত ও স্ফীত একটি গ্যাসের গোলক। গ্রহটির তাপমাত্রা ৫৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির চেয়েও ১ দশমিক ২ গু বড় এই ডব্লিউএসপি-৯৬।
সূর্যের মতো দেখতে একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে এই গ্রহটি। নাসা জানায়, বিশাল আকৃতি, সংক্ষিপ্ত কক্ষপথ, স্ফীত বায়ুমণ্ডল ও মহাজাগতিক দূষণ থেকে মুক্ত ডব্লিউএসপি-৯৬ বায়ুমণ্ডল বিষয়ক পর্যবেক্ষরে জন্য একটি আদর্শ গ্রহ। এ পর্যন্ত মহাবিশ্বে যত টেলিস্কোপ পাঠানো হয়েছে, সেসবের মধ্যে নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সবচেয়ে শক্তিশালী।
টেলিস্কোপটি তৈরি ও মহাবিশ্বে পাঠাতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার। গতবছর ২৫ ডিসেম্বর পাঠানো হয় এই টেলিস্কোপ।