বিশেষ প্রতিবেদন: পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। ৪৪টি উন্নত অর্থনীতির দেশ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৩৭টি দেশেই মুদ্রাস্ফীতির হার কমপক্ষে দ্বিগুণ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি দেশের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির হার হয়েছে চারগুণ। মুদ্রাস্ফীতির খাড়া থেকে ছাড় পায়নি সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী দেশগুলোও। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানিসহ বেশকিছু পশ্চিমা দেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপে ভোগান্তি বাড়ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষগুলোর। ফলে উন্নত দেশের এক শ্রেণীর মানুষ এখন ঝুঁকছে ত্রাণের খাবারের দিকে।
বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় চাপে রয়েছে প্রায় সব দেশই। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য জোগাতে না পেরে ত্রাণের খাবারের দিকে ঝুঁকছেন আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশের সাধারণ মানুষ। ব্রিটেনে তো একবেলা খাবার বাদ দিয়েছেন অনেকে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে চোখ রাঙাচ্ছে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি। আগামী গ্রীষ্মে খাদ্যের দাম ১৫ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করছে ইনস্টিটিউট অব গ্রোসারি ডিস্ট্রিবিউশন। দেশটিতে ১৯৭০ পরবর্তী সময়ে জীবনযাত্রার ব্যয় সর্বোচ্চ হয়েছে। অন্যান্য খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে পশুখাদ্যের দামও। আমেরিকাতেও একই অবস্থা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার সর্বোচ্চ করেছ।