পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ২২ জুন তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সউদি যুবরাজ বিন সালমান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই খবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, সউদি যুবরাজকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তুরস্ক। যাবতীয় তিক্ততাকে পেছনে ফেলে নতুনভাবে সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টা করছে সউদি আরব ও তুরস্ক। গত কয়েক বছরে বেশকিছু কারণে এই দুই দেশ একে অপরের প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালে ইস্তান্বুলের সউদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগি নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর এই প্রথম তুরস্ক যাচ্ছেন এমবিএস।
খাশোগি একসময় সউদি রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে তিনি তাদের সমালোচনায় লেখা শুরু করেন। তাঁকে হত্যার ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। সেসময় সউদি আরব ও তুরস্কের সম্পর্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, তুরস্কের তরফে সউদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সউদি যুবরাজকে সরাসরি দায়ী করেছিলেন তুর্কি গোয়েন্দারা। তবে এখন পরিস্থিতির বদল হচ্ছে।
এরদোগান বলেছেন, ‘সউদি যুবরাজকে আমরা স্বাগত জানাব। তুর্কি ও সউদি আরবের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ কোন পর্যায়ে নেওয়া যায়, সে-বিষয়টি স্থির করার সুযোগ আমাদের হবে, ইনশাআল্লাহ্।’ এই সফরে দুই দেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। তীব্র মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে তুরস্ক। অন্যদিকে, তুরস্কের সামরিক প্রযুক্তির দিকে নজর সউদি আরবের। উল্লেখ্য, এপ্রিলের শেষভাগে সউদি সফর করেছেন এরদোগান। পবিত্র উমরাহ পালন করতে যাওয়ার আগে তিনি সউদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।