আহমদ হাসান ইমরানঃ কোভিডের কারণে পর পর দু’বছর হজের মওসুমে কলকাতা বিমানবন্দরে সেই পরিচিত দৃশ্যটি দেখা যায়নি। কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বেশ কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী রওয়ানা দিচ্ছেন মক্কা শরীফের উদ্দেশে, আর সেই কারণে চূড়ান্ত ব্যস্ততা বিমানবন্দর জুড়ে। চিরাচরিত দৃশ্যটি কোভিডের কারণে পর পর দু’বছর অনুপস্থিত ছিল। এবার পুনরায় দেখা যাচ্ছে নিউটাউনের মদিনাতুল হুজ্জাজে হজযাত্রীদের সক্রিয় উপস্থিতি, স্বেচ্ছাসেবক ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সেই ব্যস্ততা।
আজ ১৭ জুন সকালে কলকাতা থেকে ৩৬৫জন হজযাত্রীকে নিয়ে সউদি এয়ারলাইন্সের উড়ান আকাশ পথে পাড়ি দেবে পবিত্র মক্কা শরীফের উদ্দেশে। মোটামুটি এদের সকলেই কলকাতার। এছাড়া বিকেলেও আরও একটি ফ্লাইট কলকাতা থেকে উড়ান ভরবে মক্কার পথে। এই ফ্লাইটে থাকবেন অসম এবং হাওড়ার হজ গমণেচ্ছুরা। তাই বৃহস্পতিবার রাতে মদিনাতুল হুজ্জাজে আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় হজ ব্যবস্থাপনা ও উড়ানের শেষ পদক্ষেপগুলি চূড়ান্ত করছেন হজযাত্রীরা।
অসম ও মণিপুর থেকে হজযাত্রীরা ইতিমধ্যেই মদিনাতুল হুজ্জাজে এসে গেছেন। প্রথম উড়ানের পর তাঁরাও পরের দিন থেকে ফ্লাইট ধরবেন। যাঁরা পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে আজকের উড়ান ধরবেন তাঁরাও তীব্র আকাঙ্খা নিয়ে হাজির মদিনাতুল হুজ্জাজে। বাংলার হজ ব্যবস্থাপনায় খুশি হজযাত্রীরা। তাঁরা বলেন, আমাদের সব ধরণের সুবিধার দিকে ব্যবস্থাপকরা নজর রেখেছেন। তবে দু-একজন হজযাত্রী বললেন, মদিনাতুল হুজ্জাজে ডকুমেন্টেশনের জন্য কাউন্টার আরও একটু বেশি হলে ভাল হত।
তবে এইসব ছোটখাটো দিকে দৃষ্টি দেওয়ার সময় কারোর নেই। তাঁরা আকুল হয়ে রয়েছেন কখন পৌঁছবেন পবিত্র শহরে, কখন ‘পহেলা নজর’ পড়বে আল্লাহর ঘর কাবা শরীফে। আর শুরু হবে হজ করে আধ্যাত্মিক অভিযাত্রায় সামিল হওয়া এবং নিজেকে পরিশুদ্ধ করার পালা। আল্লাহর জিকিরের সঙ্গে তাঁরা অপেক্ষা করে রয়েছেন হজ-সফর শুরু করার শুভ মুহূর্তটির জন্য।