পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নাগরিক জীবনে আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বলেই বিবেচিত হয়ে থাকে। এটি একটি সরকারি কার্ড। ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা থেকে শুরু করে হাতের ছাপ পর্যন্ত ভেরিফাই করা থাকে। কার্ডে থাকা ১২ ডিজিটের একটি নম্বর যেটি আপনি যে কোনও সরকারি সংস্থায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই কার্ডের মধ্যে বায়োমেট্রিক ডাটা, আপনার ছবি, নাম ও ঠিকানা মজুদ করা থাকে।
আধার কার্ড নিয়ে ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিআই)-‘র সংশ্লিষ্ট সংস্থা (যারা আধার সম্পর্কিত পরিষেবাগুলি প্রদান করে থাকে) দুটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এই উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে একজনের জন্ম থেকে মৃত্যু, সমস্ত নথি থাকবে আধার কার্ডে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সম্পূর্ণ সেই তথ্য এবার আধার কার্ডের ১২ ডিজিটের নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে।
কি কারণে এই উদ্যোগ: কেন্দ্র সরকারের মতে একজন ব্যক্তির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত গোটা জীবনপঞ্জি আধারের নম্বরের সঙ্গে সংযুক্তকরণ করলে, এই গুরুত্বপূর্ণ কার্ড নিয়ে যে অপব্যবহার হয় তা রোখা সম্ভব। বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা
এই প্রসঙ্গে এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আধার কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতদের জন্য সাময়িক আধার নম্বর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের পর বায়োমেট্রিক ডেটা সহ আধার নম্বর পূনর্নবীকরণ করা হবে।
২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর আমলে আধার কার্ডের সূচনা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি ডেটাবেস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই কার্ড। আধার সংখ্যা পরিচয়ের একটি প্রমাণ। আধার একটি স্থায়ী আর্থিক ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আধার পরিচয় একটি প্ল্যাটফর্ম। ‘ডিজিটাল ভারত’,-এ মূল স্তম্ভের অন্যতম হল এই আধার কার্ড। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম বায়োমেট্রিক্স ভিত্তিক সনাক্তকরণ সিস্টেম হল এই আধার কার্ড। ভারত সরকার সরাসরি দেশের নাগরিকদের আধার সংখ্যা ব্যবহার করে বিভিন্ন ভর্তুকি সুবিধা এবং সেবা পৌঁছাতে সক্ষম।