পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন সন্তানের জন্ম হলে সেই সন্তান তার পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য বিচারপতি এস আব্দুল নাজির এবং বিক্রম নাথের জয়েন্ট বেঞ্চ আজ এই বিশেষ রায় দিয়েছে। কেরল কোর্ট রায় দিয়েছিল, বিবাহ না করে একসঙ্গে থাকা নারী ও পুরুষের সন্তান অবৈধ বলে গণ্য হবে। পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাগ পাবে না তারা। কেরল হাইকোর্টের রায়কে সঙ্গে নিয়ে শীর্ষ আদালত এদিন এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে আইন সর্বদা বিবাহের পক্ষেই অনুমোদন দিয়ে থাকে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে অনুমোদন দেয় না। তবে একজন নারী-পুরুষ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকলে তাদের থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান পৈতৃক সম্পত্তি পাবে। একজন পুরুষ ও নারী দীর্ঘদিন স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে একত্রে বাস করলে তারা দুজনে বিবাহ না করলেও তাদের দুজনের সম্পর্ক বিবাহজনিত সম্পর্ক হিসেবেই মান্যতা পাবে। সাক্ষ্য আইনের ১১৪ ধারার অধীনে এই ধরনের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।’ সুপ্রিম কোর্ট এদিন কেরলের হাইকোর্টের রায়দানকে খারিজ করে জানিয়ে দিল, বাবা কিংবা মা, দুইয়েরই সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকারী হবে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা তাদের সন্তান।
উল্লেখ্য কেরল হাই কোর্ট রায়দানে জানায়, বিয়ে না করে লিভ ইন সম্পর্কে জন্ম নেওয়া শিশু পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার নয়। আদালত জানিয়ে দেয় আবেদনকারীর বাবা মা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকার প্রমাণ নেই। সেক্ষেত্রে তাদের সম্পর্কে কোনও বৈধ প্রমাণ নেই। কাজেই তাদের পুত্র বৈধ নয়। তাই সম্পত্তি ভাগ পাওয়ার কোনও অধিকার সেই পুত্রের নেই। কেরল হাইকোর্টের ২০০৯ সালের রায় চ্যালেঞ্জ করে দেশের সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আবেদনকারী।
কেরল হাইকোর্টের সেই রায়ের জের ধরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, দীর্ঘদিন ধরে নারী-পুরুষ একত্রে বসবাস করলে তা আইনের চোখে বিবাহই। কাজের তাদের সন্তান বাবা, মায়ের সম্পত্তির অধিকারী হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে লিভ ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় শীর্ষ আদালত।