পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক অব্যাহত। হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতি চেয়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার জন্য ২৩ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করল কর্নাটকের পুত্তুর জেলার উপ্পিনগাদি সরকার ফার্স্ট গ্রেড কলেজ। গত সপ্তাহে তারা এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে।
পুত্তুরের বিজেপি বিধায়ক, কলেজ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান (সিডিসি) সঞ্জীব মাতান্দুর বলেন, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাই তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দক্ষিণ কর্নাটক জেলায় পুত্তুর তালুকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব প্রবশে অনুমতি চায়। এর পর অনুমতি না মেলায় তারা বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েকজন ছাত্রী।
সিডিসি সঞ্জীব মাতান্দুর একটি বৈঠক করেন, তার পরেই তাদের প্রতিবাদী ছাত্রীদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর এই একই কাণ্ডে হিজাব পরে আসার জন্য প্যানেলের পক্ষ থেকে সাতজন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
এই বছরের মার্চ মাসে কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দেয়, ইসলামে হিজাব একটি অপরিহার্য ধর্মীয় প্রথা নয়। প্রত্যেকের উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে পোশাক রয়েছে সেই পোশাকের নিয়ম মেনে চলা। কর্নাটক সরকার আদালতে নির্দেশ বহাল রাখে। সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে এমন কোনও পোশাক পরা যাবে না, যা শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত করে।
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই কর্নাটকের উদুপিতে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়। পরে তা আশেপাশের রাজ্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশে অনুমতি নিয়ে এই মামলার আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
গেরুয়া ওড়না গায়ে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে কিছু মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয় এরা সকলে বহিরাগত। এই ইস্যুতে রাজ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় এক সপ্তাহ স্কুল কলেজগুলি বন্ধ রাখা হয়।