পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মার্কিন সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ অ্যান্ড্রিয়ান জেঞ্জ উইঘুরদের ওপর চিনা নিপীড়নের বাস্তবতা প্রকাশ করেছেন। জেঞ্জের প্রকাশিত ফাইলগুলোর মধ্যে শিনজিয়াংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারি চেন ওরাঙ্গুরের ২০১৭ সালের ভাষণও আছে। সেখানে তিনি বন্দিশিবির থেকে কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করার এবং মেরে ফেলার নির্দেশ দেন প্রহরীদের।
চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে লক্ষ লক্ষ উইঘুর সংখ্যালঘুকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বন্দিশিবিরে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে বর্বর নির্যাতন ও অমানবিক অত্যাচার। এসব এখন বেশ পুরনো খবর। এখন নতুন করে চিনের কুৎসিত চেহারা বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হয়েছে। এতে চিন সরকারের নিন্দা সমালোচনা শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে। অ্যান্ড্রিয়ান জেঞ্জ নামে একজন মার্কিন সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ উইঘুরদের ওপর চিনা নিপীড়নের বাস্তবতা প্রকাশ করেছেন। জেঞ্জের প্রকাশিত ফাইলগুলোর মধ্যে শিনজিয়াংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাক্তন সেক্রেটারি চেন ওরাঙ্গুরের ২০১৭ সালের ভাষণও আছে। সেখানে তিনি বন্দিশিবির থেকে কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করার এবং মেরে ফেলার নির্দেশ দেন প্রহরীদের। এছাড়া তিনি এই অঞ্চলের কর্মকর্তাদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাসীদের ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ’ অনুশীলন করার নির্দেশ দেন। এই ফাইলগুলোতে চিনের শিনজিয়াং অঞ্চলের হাজার হাজার ছবি এবং সরকারি নথি রয়েছে। এ থেকে এটা নিশ্চিত যে, চিন সরকার উইঘুর সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হিংসাত্মক আচরণ করে চলেছে, বিশ্বকে লুকিয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের গণহারে হত্যা করছে। তবে চিন দেশটিতে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। ফাঁস হওয়া ফটোগ্রাফ এবং অভ্যন্তরীণ নথি একটি অজ্ঞাত উৎস থেকে জেঞ্জকে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য চিনা পুলিশের ওয়েবসাইট হ্যাক করে পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।