Aliur Rahman was burnt to death while the fire of Sitakunda in Chittagong was live on Facebook
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। আহত চার শতাধিক। এই মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তুলে ধরছিলেন আলিউর রহমান ওরফে নয়ন। ওই দূর্ঘটনাগ্রস্থ ডিপোর তিনিও একজন কর্মী ছিলেন।
শনিবার মধ্যরাতে যখন ডিপোতে প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তখন তা ফেসবুক লাইভ করছিলেন নয়ন। হঠাৎই একটা জোরালো বিস্ফোরণ হয়। তার পর সব অন্ধকার হয়ে যায়। নয়নের ফেসবুক লাইভেও সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। তার পরই সেই লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।খোঁজ পাওয়া যায়না নয়নের। নয়নের ভাই জুনাব আলি জানিয়েছেন নয়নকে অনেকেই ফেসবুক লাইভ করা থেকে বিরত করেন। কিন্তু ভাই কোন মতেই সরতে চায়নি। মোট ৪০ মিনিট সে লাইভ ভিডিও করে। কিন্তু হটাত করেই বিস্ফোরণের আওয়াজ। স্ক্রিন কালো হয়ে যায়। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শনাক্ত করা হয় আলিউর রহমান ওরফে নয়নের দেহ।
একটি কনটেনার ডিপোতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন্দর চট্টগ্রাম শহর থেকে সীতাকুণ্ডের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। জানা গিয়েছে, এই কন্টেনার ডিপোতে কম করে ৬০০ জন ব্যক্তি কাজ করেন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল আট জনের মৃত্যুর খবর।। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৮।শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৯। তাদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডিপোতে প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল। সেখানে থাকা দাহ্য পদার্থ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।