পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ টেক্সাস ও ওকলাহোমার পরে এবার আইওয়া ও উইসকনসিনে বন্দুকধারীদের তাণ্ডব। দু’টি পৃথক ঘটনার মধ্যে আইওয়ার ঘটনায় নিহত হয়েছেন হামলাকারী-সহ তিন জন। বৃহস্পতিবার রাতে আইওয়ার আমেসে একটি গির্জার সামনে বন্ধুকধারীর গুলিতে দু’জন নিহত হন। কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে ওই হামলার ঘটনায় পুলিশের পালটা গুলিতে হামলাকারীরও মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে উইসকনসিনের গ্রেসল্যান্ডে একটি গোরস্থানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তির এলোপাথাড়ি গুলিতে অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বন্দুক হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারির পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আমেরিকায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর কয়েকটি বন্দুক হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাইডেন প্রশাসন।
সর্বশেষ ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের টুলসা শহরের একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে’। এরই মাঝে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসকে চাপ দিচ্ছেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ এক ভাষণে বন্দুক আইন সংস্কারের আহ্বান জানান তিনি। বাইডেন মনে করেন, ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র সমস্যা মোকাবিলা না করলে একের পর এক ঘটনা ঘটতেই থাকবে। মূলত দৈনন্দিন বন্দুক হামলা বন্ধ করতেই আইনটি সংস্কার করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনই হবে প্রধান ইস্যু। বাইডেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে অনেক ভয়াবহ আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর কিছুই করা হয়নি। এবার আমাদের কিছু করতে হবে। এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।’
তিনি কংগ্রেসের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা আর কত হত্যাকাণ্ড মেনে নেব, যখন দেশের বন্দুকই শিশুদের এক নম্বর ঘাতক হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’