নয়াদিল্লি, ৩১ মেঃ বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সেলিব্রিটিরা। সংক্রমণ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চন্দ্রকান্ত লহরিয়া জানিয়েছেন শিশু এবং যারা তামাক বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন না। তারাও কিন্তু বিক্রয়কেন্দ্র গুলিতে যান। ফলে তারাও পরোক্ষ ব্যবহারকারী বা প্যাসিভ স্মোকার হিসেবে ঝুঁকি এড়াতে পারেননা। ডাঃ লহরিয়ার কথায় এরফলে এঁদের মধ্যেও আসক্তি বাড়তে থাকে। এই প্রবণতাকে শিথীলতা দেওয়ার অর্থ তামাক সংক্রান্ত মহামারীকে আমন্ত্রণ জানানো ।কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্যের ওপর তামাকের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কথাও তিনি সরকারের নজরে আনেন। ডাঃ চন্দ্রকান্ত আরও বলেন প্রতিটি জীবন মূল্যবান এবং আমরা প্রতি বছর১.৩ মিলিয়ন ভারতীয়কে তামাকজনিত রোগে হারাচ্ছি। ক্যান্সার ছাড়াও, তামাক ফুসফুসের রোগ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং স্ট্রোকের মতো দীর্ঘস্থায়ী এবং জীবনকে স্থবির করে দেওয়ার মত অসুখ। তাই ভেবে দেখার সময় এসেছে। বিমানবন্দর, হোটেল এবং রেস্তোঁরাগুলিতে মনোনীত ধূমপান এলাকা বা নো স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করার দাবিকে সমর্থন করেন কারণ সেগুলি অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর। তাঁরা পরোক্ষা ধূমপায়ী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলেই চিকিৎসকদের একাংশের অভিমত। বিখ্যাত কুস্তিগীর এবং অভিনেতা সংগ্রাম সিং বলেন, তামাকজাত পণ্যের ব্যাপক বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের প্রভাব যে উদ্বেগজনক তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি শিশুদের ধূমপান শুরু করতে প্রভাবিত করে এবং সারাজীবন ধরে আসক্তির অভ্যাস গড়ে তোলে। যা একপ্রকার একটি শিশু বা কিশোরকে হত্যার সামিল বলেই এই বিখ্যাত কুস্তিগীর মনে করেন। কুস্তিগীর সংগ্রাম সিং আরও বলেন একজন তরুণ ধূমপায়ী একটি তামাকজাত পণ্য বিক্রি সংস্থা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্রেতা হিসেবে দেখে। কারণ একবার নেশার দাস হয়ে পড়লে তার পক্ষে ছাড়া সম্ভব হবেনা। ডাঃ উমা কুমার,এইমসের রিউমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলেছেন যে তামাক কোম্পানিগুলি সিগারেট এবং গুটখার মতো পণ্য তৈরি করে বিশেষ করে কিশোর এবং বাচ্চাদের লক্ষ্য করে। তারা স্কুল এবং কলেজের কাছে তাদের বিজ্ঞাপনগুলি এমনভাবে তুলে ধরে যাতে তারা আকৃষ্ট হতে বাধ্য হয়। এগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা উচিত,”