পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অব্যাহত। দুদিন আগেই কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন কাশ্মীরি টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেত্রী আমরিন ভাট। বুধবার বদগামের চাদুরায় অভিনেত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আর এবার জঙ্গিদের গুলি প্রাণ কেড়ে নিল এক হিন্দু শিক্ষিকার। কুলগামের ঘটনা। ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষিকার নাম রজনী বালা। সাম্বারের বাসিন্দা ছিলেন রজনী।
কুলগামের গোপালপোড়া এলাকায় তার ওপর আততায়ীরা গুলি চালায়। গোপালপোড়াতেই শিক্ষিকা হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন। এদিন তার ওপরে গুলি চালনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শীঘ্রই চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুলগামের গোপালপোড়া অঞ্চলে হাই স্কুলে এই সন্ত্রাসী হামলা চালায় আততায়ীরা। নিহত হন শিক্ষিকা রজনী বালা। এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লাহ শিক্ষিকার ওপর এই হামলার ঘটনাকে জঘন্যতম কাজ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘ রজনী জম্মু উপত্যকার সাম্বা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সন্ত্রাসীসের বর্বরোচিত আক্রমণে নিহত হয়েছেন তিনি। স্বামী ও তার পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধা রয়েছে। নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর আরও সন্ত্রাসী হামলার আরও একটি ঘটনা হল। নিন্দা বা সমবেদনার ঘটনাগুলি সন্ত্রাসীরা হালকাভাবে নিচ্ছে। সরকারে আশ্বাস ছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া তারা বিশ্রাম নেবে না। তাও হামলা চলে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে কাশ্মীরের বদগাম জেলায় সন্ত্রাসী হামলায় রাহুল ভাটের মৃত্যু হয়। তিন সপ্তাহ আগে চাদুরা অফিসের তেহসিল অফিসের মধ্যে ঢুকে তাকে গুলি করে খুন করা হয়। তিনি ২০১০-১১ সালে অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে কেরানির চাকরি পেয়েছিলেন। এর কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী হানায় মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সী টেলি অভিনেত্রী আমরিন ভাটের। গুলিতে আহত হন তার ১০ বছরে ভাইপো। পুলিশ জানায়, এই আক্রমণের পিছনে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর ই তৈবা।
রাহুল ভাট সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, বিজেপি সরকার পূনর্বাসনের নামে হিন্দুদের কামানের গোলার মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা মানুষের স্থায়ীভবে পুনর্বাসনের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে।