পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানভাপী মসজিদ কমপ্লেক্সে পরিচালিত জরিপের বিষয়টি উত্তপ্ত। এখানে হিন্দু পক্ষ দাবি করেছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে শিবলিঙ্গ রয়েছে। অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষ বলছে শিবলিঙ্গ নয়, এটি একটি ‘ফোয়ারা’। এ সবের মধ্যে এবার শ্রী কাশী কারওয়াত মন্দিরের মহন্ত গণেশ শঙ্কর উপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন।
আসলে, মহন্ত গণেশ শঙ্কর কথিত ‘শিবলিঙ্গ’ কে একটি ‘ফোয়ারা’বলে বর্ণনা করেছিলেন। একইসঙ্গে পদত্যাগের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হলেও তিনি এখন এর প্রায়শ্চিত্ত করবেন। মহন্ত তার ছোট ভাই ডঃ দীনেশ অম্বাশঙ্কর উপাধ্যায়কে দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন।
উল্লেখ্য, শ্রী কাশী কারওয়াত মন্দির কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই অবস্থিত। এই মন্দিরের মহন্ত ছিলেন পণ্ডিত গণেশ শঙ্কর উপাধ্যায়। সম্প্রতি, একটি বেসরকারি চ্যানেলের সাথে সাক্ষাত্কারে, তিনি জ্ঞানভাপি মসজিদ চত্বরে পাওয়া কথিত শিবলিঙ্গকে একটি ‘ফোয়ারা’হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
মহন্ত বলেছিলেন, আমরা এটিকে ছোটবেলা থেকে দেখছি এবং সেখানে কয়েকশ’বার গিয়েছি। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, সংবাদ চ্যানেলে তার কথা কাটছাঁট করে দেখানো হয়েছে। এরপর হিন্দুদের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এবার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মহন্ত গণেশ শঙ্কর।
মহন্ত গণেশ শঙ্কর বলেছেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নেওয়া ভুল সাক্ষাৎকার চালানো হয়েছে, এতে আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি এবং পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কখনই দাবি করিনি যে জরিপের সময় পাওয়া আকৃতিটি শিবলিঙ্গ নয়, একটি ‘ফোয়ারা’।
পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে, তিনি কার্যত আক্ষেপ করে আরও বলেন, এই প্রথমবারের মতো ঘটছে যে একজন মহন্ত জীবিত থাকাকালীন অন্য কাউকে মহন্ত পদ দেওয়া হবে, কারণ মহন্তের মৃত্যুর পরেই মহন্তের পদটি স্থানান্তরিত হয়।