পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বে অবস্থিত দোনবাস অঞ্চলের ৪০টিরও বেশি শহরে গোলাবর্ষণ করছে। এই তথ্য দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। ইউক্রেন সেনার দাবি, আক্রমণের মধ্যে আটকে থাকা অসামরিক নাগরিকদের জন্য পালানোর পথটিও বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট টাস্কফোর্স ফেসবুকে এই তথ্য দিয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, রুশ সেনা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের ৪০টিরও বেশি শহরে গোলাবর্ষণ করেছে। এ হামলায় ৩৮টি বাড়ি এবং একটি স্কুল-সহ ৪৭টি অসামরিক স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ হামলার ফলে পাঁচজন অসামরিক লোক মারা গেছেন এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ দিকে, ইউক্রেনের সেভেরোদোনেৎস্ক দখলে নিতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। শহরটি চারপাশ থেকে রুশ সেনারা ঘিরে ফেলার দাবি করেছে।
তবে পূর্ব ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি এলাকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোগ সড়ক এখনও দখলে নিতে পারেনি রাশিয়া। ওই সড়কটি রাশিয়া দখল করতে পারলেই সেভেরোদোনেৎস্কের সঙ্গে ইউক্রেনের অন্যান্য শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য হল সেভেরোদোনেৎস্ক দখলে নেওয়া। দেশটির অন্যতম বড় এই শহরটির উপকণ্ঠে তীব্র লড়াই চলছে। রুশ সেনারা যদি সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে বাখমুটের রাস্তাটি দখল করতে পারে তবে পুরো শহরটিকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হবে তারা। শহরের সরকারি আধিকারিক শেরহি হাইদি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কের পরিস্থিতি খুব খারাপ। ২৪ ঘণ্টা সেখানে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া রুশ সেনারা মর্টারের গোলা-সহ নানা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হামলার পাশাপাশি বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের আধিকারিক আরও বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কে ১৫ হাজার অসামরিক লোকজন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর তিন মাস পার হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাস পুরোপুরি দখলের দিকে মনোনিবেশ করছে রুশ সেনারা। মারিওপলের পর গত শুক্রবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্কের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার কাছাকাছি যাওয়ার দাবি করেছিলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে তা স্বীকার কার হয়নি।