পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শনিবার পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন দীঘা বেড়াতে। জমিয়ে ঘোরাঘুরির সঙ্গে চলছিল খাওয়াদাওয়াও। রবিবার কাঁকড়া দিয়ে ভাত খাওয়ার পরেই ওই পর্যটকের শরীরে শুরু হয় তীব্র অস্বস্তি। ভাত খেয়ে যান সমুদ্রস্নানে। তারপরেই শরীর খারাপ করতে শুরু করে। তড়িঘড়ি দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৬২ বছর বয়সী ওই পর্যটকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরে।
রবিবার দীঘা থেকে সপরিবারে যান দীঘা থেকে তাজপুরে। সেখানেই স্থানীয় একটি হোটেলে সামুদ্রিক কাঁকড়া দিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন পরিবারের সকলে মিলে। কিন্তু খাওয়ার পরেই শরীরে শুরু হয় তুমুল অস্বস্তি। তাকে গ্রাহ্য না করেই সমুদ্রে নামেন স্নান করতে।
গোটা ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দীঘা কোস্টাল থানা পাঠিয়েছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। রুজু করা হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।
চিকিৎসকদের কথায় হয়ত সুদীপ্তবাবুর কাঁকড়ায় অ্যালার্জি ছিল। এছাড়াও বাসি কাঁকড়া অনেকদিন হিমায়িত অবস্থায় থাকার ফলে তা খেয়েও এই ঘটনা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য এর আগে গত ২১ নভেম্বর দিঘায় বেড়াতে গিয়ে সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বেহালার সৌম্যদীপ শিকদারের। তার ঠিক মাসখানেক পরের ঘটনা। বীরভূমের এক তরুণীরও সামুদ্রিক কাঁকড়া খাওয়ার পর মৃত্যু হয়।