পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়।
বিজেপি নেতা, আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের কথা উল্লেখ করে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানিয়ে এই বিষয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
অশ্বিনী কুমার শিক্ষার অধিকার আইন (২১এ) ও স্বাস্থ্যের অধিকার(অনুচ্ছেদ ২১)-এর কথা উল্লেখ করে এই আবেদন জানিয়েছেন।
আরটিআই অ্যাক্ট ২০০৯-এর কথা উল্লেখ করে অশ্বিনী কুমার আদালতকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞানকে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা প্রত্যেক রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য।রাইট ট্যু হেলথ অ্যাক্ট-২১ এর অধীনে প্রতিরোধ, সুরক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং মর্যাদার অধিকার শিশুদের একটি ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা।
উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে জানান, শিশুদের জন্য “স্বাস্থ্য এবং যোগ শিক্ষা” প্রদান করা কেবল রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করাই একটি রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য।
এই প্রসঙ্গে অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়ার আপিল কোর্টের তিন বিচারকের বেঞ্জের রায়ের কথা উল্লেখ বলেছেন, যোগ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ কার্যকলাপ। সর্বোচ্চ আদালতও একই মত প্রকাশ করেছে। তাই স্বাস্থ্য ও যোগের মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। এখানে তিনি আর্টিকেল ২১, ২১এ, ৩৯, ৪৭ এর কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক করা হোক।
আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, আরটিআই অ্যাক্ট কার্যকর হওয়ার পরে ৬-১৪ বছরের শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা এখন বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞানের কথা উল্লেখ করে আবেদনকারী জানিয়েছেন, বার্ষিক পরীক্ষায় স্বাস্থ্য এবং যোগ বিজ্ঞানের জন্য মার্কস দেওয়া হয় না এবং এমনকি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং নবোদয় স্কুলের শিক্ষকরাও বলেছেন যে এটি একটি বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। আবেদনকারী উপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, এনসিইআরটি( ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং) এখনও প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘স্বাস্থ্য ও যোগ বিজ্ঞান’ বিষয়ক বই প্রকাশ করেনি। অতএব পাঠ্য বইতে স্বাস্থ্য এবং যোগ বিজ্ঞান বিষয়ক সিলেবাস, প্রশিক্ষিত শিক্ষক, পরীক্ষার মূল্যায়ন না হওয়ায় এনসিএফ-২০০৫ (ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম ফোরাম) যোগশিক্ষা প্রদান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।