পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অবস্থা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, মেয়র ও অন্যান্য সংলিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিম দিল্লির মুন্দকা মেট্রো স্টেশনের ৫৪৪ নম্বর পিলারের কাছে একটি বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আগুন নেভাতে গিয়ে আরও দুজন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৩০।
গতকালই ঘটনাস্থলে গতকালই এই দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারদের জন্য মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে।
জেলা পুলিশের ডিসিপি সমীর শর্মা জানিয়েছেন, “দ্রুতগতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। সেখানে আরও কেউ আটকে আছে কি না, তা দেখছে। এখনও পর্যন্ত আমরা ২৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। দগ্ধ দেহগুলির ফরেনসিক ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। নিখোঁজদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে”।
বাড়ির যে অফিস থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা, সেটার মালিকরা ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) নেননি দমকল বিভাগের কাছ থেকে। ছাড়পত্র ছিল-ই না, উলটে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা না মেনেই তারা ওই বাড়িটিতে কাজ করছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এস শর্মা জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিংয়ের মালিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিল্ডিংয়ের মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বিল্ডিংয়ের একতলায় একটি সিসিটিভি ও রাউটার তৈরির সংস্থার অফিস ছিল। সেখান থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। তাদের সহযোগিতায় পোড়াদেহ গুলি শনান্তকরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।