পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বিজয় দিবসে নাৎসিবাদীদের ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছেন পুতিন। সেইমতোই ইউক্রেনে তার সেনাবাহিনী যুদ্ধ করছে। পুতিনের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার পথে যে আসবে তার পরিণতি ভালো হবে না। বিজয় দিবসের দিন পুতিন এই যুদ্ধ নিয়ে বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানোটা অনিবার্য ছিল, অপরিহার্য ছিল এবং সঠিক মুহূর্তেই সে হামলা চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের প্রশংসা করেন। ইউক্রেনে তার দেশের সামরিক পদক্ষেপকে সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি অগ্রিম পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করে পুতিন বলেন, প্রতিবেশী দেশে তার সৈন্যরা নিজ দেশকে রক্ষার জন্য লড়াই করছে। রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতার কথা তুলে ধরে বলেন, তার হাতে এর কোনও বিকল্প ছিল না। তিনি দাবি করেন, ‘গতবছর আমরা ন্যাটোর দেশগুলোকে একটি নিরাপত্তা চুক্তির পরামর্শ দিয়েছিলাম। শান্তির সঙ্গে সহাবস্থানের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা সে কথা শুনতে চায়নি। কারণ তাদের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল এবং তারা ক্রিমিয়ার উপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ন্যাটো আমাদের সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে সমরাস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছিল। ফলে মস্কোর জন্য এ লড়াই অনিবার্য হয়ে পড়ে।’ বিজয় দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজের সময় সেনাদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, ‘আপনি আপনার মাতৃভূমির জন্য, এর ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছেন।’ এ সময় তিনি প্রত্যেক সৈনিক ও অফিসারের মৃত্যু বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেন। তবে এই ভাষণে যুদ্ধ বা লড়াইয়ের অবসান সম্পর্কে পুতিন কোনও কথাই বলেননি। পুতিনের এই ভাষণের পর বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় (এক্সিট রুট) নেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের।’ ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, ‘পুতিনের বিশ্বাস ভুল ছিল। তিনি মনে করেছিলেন ইউক্রেনে যুদ্ধ হলে ন্যাটো ও ইইউ ভেঙে যাবে। কিন্তু তা অতটা সহজ নয়। বরং হয়েছে উলটো। আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের পক্ষে বিশাল জোট করেছে। তারা কিয়েভকে ব্যাপক হারে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে ইউক্রেন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করতে মার্কিন মিত্রদের সাহায্য করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন একটি আইন নবায়ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে মার্কিন অস্ত্রের চালান পাঠানো সহজ হয়েছে। বাইডেন ওভাল অফিসে লেন্ড-লিজ অ্যাক্টে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনীয়দের গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামকে সমর্থন করে।