পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্বাচনে জয়ের পরে উত্তরপ্রদেশকে ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত যোগী সরকার। সরকারের কর্মকাণ্ড যাতে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে তার জন্য এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল যোগী সরকার। এবার ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়তে উদ্যোগ নিল সরকার।
উত্তরপ্রদেশকে স্মার্ট তৈরির প্রয়াস শুরু করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর প্রথম পদক্ষেপে এবার ইন্টারনেট তৈরির সংযোগে মন দিল যোগী সরকার। বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকার সমস্ত গ্রামীণ এলাকার সমস্ত সচিবালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার দিকে জোর দিয়েছে। গ্রাম সচিবালয়ের ৫০-মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পরিষেবাকে নিশ্চিত করা হবে।
অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং জানান, এই পদক্ষেপটি গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত করবে। মনোজ কুমার সিং আরও জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচারের জন্য, গ্রামে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যোগী সরকারের পরিচালনায় ৫৮,১৮৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে গ্রাম সচিবালয়ে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চলছে। এই স্মার্ট উদ্যোগের ফলে গ্রামের মানুষদের যাতে বিভিন্ন নথি এবং তথ্য পেতে একাধিক সরকারি দফতরে না যেতে হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও এই কাজ শুরু হয়েছি। এর ফলে পঞ্চায়েত সহায়ক এবং কমন সার্ভিস সেন্টারের (সিএসসি) সহায়তায় গ্রাম সচিবালয় থেকেই সমস্ত নথি এবং রেকর্ড পেতে পারবেন বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকে বছরে, উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে। নির্বাচনের আগেই সমীক্ষার প্রথম প্রশ্নটি ছিল এই বিষয়েই। ৫৬% নাগরিক জানিয়েছেন যোগী শাসনে ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হয়েছে, ২৪% বলেছেন ‘কিছু উন্নতি’ হয়েছে। মাত্র ১০% বাসিন্দা বলেছেন যে ‘কোন উন্নতি হয়নি’, ৪% বলেছেন ‘অবনতি’ হয়েছে এবং ৬% বলেছেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি’ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ৮০% বলেছেন যে গত ৫ বছরে পরিচ্ছন্নতার উন্নতি হয়েছে, ২০% বলেছেন হয়নি।
যোগী সরকারকে আইনের শাসন না থাকা নিয়ে বারবার আক্রমণ করেছে বিরোধীরা থেকে সুশীল সমাজ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৫৬% শতাংশ বাসিন্দাই সমীক্ষায় বলেছেন গত ৫ বছরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ হয়েছে। আর ২২% বলেছেন ‘সামান্য উন্নতি’ হয়েছে। অন্যদিকে, ৭% বাসিন্দা বলেছেন ‘কোন উন্নতি হয়নি’, ৬% বলেছেন যে এটি ‘অবনতি হয়েছে’, এবং ৯% বলেছেন আইন-শৃঙ্খলার ‘উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি’ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ৭৮% বাসিন্দারা বলেছেন গত ৫ বছরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে, ২২% বলেছেন হয়নি।