পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি অভিজ্ঞ সেনা জেনারেলকে হারিয়েছে রাশিয়া। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের একার পক্ষে রুশ জেনারেলদের হত্যা করা সম্ভব নয়। তাই এখন একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী কিয়েভকে ট্যাকটিকাল মদদ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে চলছে বিস্তর তদন্ত। আমেরিকার শীর্ষ আধিকারিকরা বলছেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই রুশ জেনারেলদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হত্যার সুযোগ পেয়েছে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘রিয়েল টাইম যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের জন্য এটি বাইডেন প্রশাসনের শ্রেণীবদ্ধ প্রচেষ্টার একটি অংশ।’ জানা যায়, আমেরিকা ইউক্রেনকে রাশিয়ার সামরিক অবস্থান এবং অন্যান্য বিশদ বিবরণ সরবরাহ করেছে। এসব পর্যালোচনা করে সিনিয়র রুশ অফিসারদের শনাক্ত করতে পারছে কিয়েভ। এরপর তারা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানো নিয়ে ন্যাটোকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বলেন, ইউক্রেনের উদ্দেশে পাঠানো অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জামের চালান তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, এই যুদ্ধের শুরু থেকেই আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে। এভাবে অস্ত্র সরবরাহ পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি করছে রাশিয়া। এদিকে, এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে ইসরাইল সাহায্য করছে বলে দাবি করেছেন রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। জাখারোভা বলেন, ইসরাইলের ভাড়াটে যোদ্ধারা ইউক্রেনে আজভ বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছন। আজভ বাহিনীকে ‘ফ্যাসিবাদী’ ও ‘নাৎসিবাদী’ হিসেবে দেখে রাশিয়া।