পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের ৪০০ অবস্থানে হামলা চালাল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ জানান, লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনেরে আর্টিলারি বিভাগ, সৈন্যদের শক্তিশালী ঘাঁটি এবং দু’টি জ্বালানি ডিপো। কোনাশেনকভ আরও জানান, রাশিয়ান বিমানবাহিনী ইউক্রেনীয় সৈন্য ও অস্ত্রের ঘাঁটি এবং দু’টি কমান্ড পোস্ট-সহ ৩৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। মোট ৪০০-রও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চলানো হয়েছে। পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লভিভকে লক্ষ্য করেও হামলা করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠার পর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে। খারা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে অন্তত চারটি বিস্ফোরণের শধ শোনা যায়। শহরের মেয়র আন্দ্রি সাদোভিই বলেছেন, হামলায় দু’টি পাওয়ার সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং লভিভের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাদোভিই একটি মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, শহরে যারা আছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া উচিত। লভিভ থেকে আসা ট্রেনগুলো পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। শহরটিকে লক্ষ্য করে সর্বশেষ বড় হামলাটি হয় ১৮ এপ্রিল। এ হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। এ দিকে, চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়া ‘আরও মানবিক বিরতি’র পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। মারিওপলের আজভস্টল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১০০ ইউক্রেনীয় অসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর এই বক্তব্য দেন রাষ্ট্রসংঘ প্রধান। গুতেরেস বলেন, আমি আশা করি কিয়েভ এবং মস্কো সমন্বিতভাবে আরও ‘মানবিক বিরতির’ দিকে যাবে, যাতে অসামরিক মানুষ যুদ্ধস্থল থেকে নিরাপদে চলে যেতে পারে। গুতেরেসের এই বক্তব্যের পরই পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ হামলায় ঘটনায় ২১ নাগরিক নিহতের খবর মিলেছে। দোনেৎস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিরিলেনকো বলেন, অ্যাভদিভকা কোক প্ল্যান্টে রুশ দখলদারদের গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। তিনি বলেন, রাশিয়ার হামলায় লাইমান শহরে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ভুগলেদার শহরে চারজন এবং ভেলিকা নোভোসিল্কা ও শানড্রিগোলোভ গ্রামে দুই জন নিহত হয়েছেন। এক মাস আগে ক্রামতোরস্ক শহরের ট্রেন স্টেশনে রুশ বাহিনীর হামলায় ৫৯ জন নিহত হওয়ার পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃতু্যর পরিসংখ্যান।