পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মসজিদে লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দেখানো পথেই এবার বিহারও।
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপি নেতা জনক রাম বলেন, যদি উত্তর প্রদেশে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত আইন আসে, তাহলে বিহারেও এর প্রভাব পড়বে। নীতীশ কুমার সরকারের খনি ও ভূতত্ত্ব মন্ত্রী জনক রাম আরও বলেন, দেশের আইনের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই। দেশ ও রাজ্য আইন দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। তাই এই আইন যদি ইউপিতে আসে তবে এর প্রভাব বিহারেও পড়বে। কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা একসঙ্গে বসে এটি বিবেচনা করবেন এবং বিহারে এটি বাস্তবায়ন করবেন।”
কিন্তু জেডিইউ এবং বিরোধী আরজেডি ওই বিজেপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছে বিহারে এমন কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও জনক রাম জানান, যেভাবে হিন্দুদের কোনও উৎসবের সময়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো কিংবা ডিজে বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ঠিক একইভাবে আজানের সময়ে মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জেডিইউ নেতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রাবণ কুমার বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়ে বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়। সব ধর্মকে সম্মান করা উচিত।”
অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, “সকল ধর্মকে সম্মান করা উচিত। বিজেপি সর্বদা সমাজে বিভাজনের রাজনীতি করে।” উল্লেখ্য, সবার আগে কর্নাটকে মসজিদে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি করা হয়। সেই ধারা বজায় রেখে একে একে দিল্লি, মহারাষ্ট্রেও এই প্রসঙ্গে গলা চড়াতে শুরু করেন অনেকে। মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়ক তো আবার আজান রুখতে মন্দিরের বাইরে হনুমান চালিশা বাজানোর নিদানও দেন বেশ কিছুদিন আগে। এবার সেই তালিকাতেই যোগ হল বিহারের নাম।