পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন অর্ধ কোটিরও বেশি ইউক্রেনীয়। যুদ্ধ থামাতে বিভিন্ন সম্মেলন, শান্তি আলোচনা, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক, রুশ-ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে। সমঝোতার পথ খুঁজে পেতে তুরস্কে একাধিক বৈঠক হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। বারংবার ব্যর্থ হয়েছে যাবতীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। ফলে থামেনি যুদ্ধ। যুদ্ধ থামানোর সব আহ্বানেই কামানের গোলার শধে চাপা পড়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে শান্তির আহ্বান উঠলেও ইউক্রেনে তার প্রভাব পড়েনি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে ময়দানে নামছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। তাঁর আশা, মস্কো ও কিয়েভ সফরে গিয়ে দুইপক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানসূত্র বের করা যাবে। গুতেরেসের এ চেষ্টাকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মহাসচিব গুতেরেস চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর শুরু করবেন। এই সফরে তিনি দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ও বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২ দিনের মস্কো সফর শেষে বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর সাথে দেখা করার কথা গুতেরেসের। মঙ্গলবার পুতিন ও গুতেরেসের সরাসরি দেখা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।
উল্লেখ্য, এই যুদ্ধের কারণে রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আংশিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পরিষদের সদস্য দেশগুলো হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চিন ও রাশিএদের মধ্যে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চিন। দেশটি বলছে, এটি মস্কোকে দুর্বল করার পশ্চিমা প্রচেষ্টার অংশ। যাই হোক, একটু দেরি হলেও সমঝোতার প্রচেষ্টায় সরাসরি মাঠে নেমেছেন রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তা। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এর আগে নানান চেষ্টা চালানো হলেও এই প্রথমবার সরাসরি শান্তি আলোচনার রাস্তা খুঁজছেন মহাসচিব গুতেরেস। শেষপর্যন্ত গুতেরেসের কথা মেনে রাশিয়া ও ইউক্রেন সমঝোতা করে কিনা সেটা দেখার। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্থায়ী মিশনে এ ব্যাপারে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।