পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত। গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপল দখলের পর এবার রাশিয়ার চোখ দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস এলাকার দিকে। রুশ ভাষাভাষী এলাকা দোনেস্ক ও লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেই ইউক্রেনের একটা বিরাট অংশ রাশিয়ার কব্জায় চলে যাবে। ঠিক তখন পিছু হটা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না পশ্চিমা বিশ্বের। তবে আপাতত যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সেনা। কারণ, তারা এখন মানসিকভাবে ক্লান্ত, দেশের ক্ষতবিক্ষত অবস্থা দেখে আম আদমিও হতাশ হয়ে উঠছে। এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে পেরে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় গোলা-বারদও ফুরিয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের। আমেরিকা, ব্রিটেন বা ফ্রান্সের মতো দেশের সাহায্যে এই যুদ্ধটা টিকে রয়েছে। এমতাবস্থায় পুতিনের কাছে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন মারিওপলের মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো। তাঁর কথায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর মরিওপলে আটকে থাকা এক লক্ষ নাগরিকের ভাগ্য রুশ প্রেসিডেন্ট একাই নির্ধারণ করতে পারেন। বোইচেঙ্কো বলেন, মারিওপলে আটকদের ভাগ্য এখন পুতিনের হাতে এবং এদের সঙ্গে কী ঘটবে তা তিনিই নির্ধারণ করতে পারেন। তিনি আরও বলেছেন, উপগ্রহ থেকে পাওয়া মারিওপলের একটি গণকবরের ছবি প্রমাণ করে যে, নিহতের সংখ্যা লুকাতে মৃতদেহ কবর দিচ্ছে রুশ সেনা। তবে এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি কেউ। মারিওপলের মেয়রের কথায়, ‘আজ আমাদের কেবল একটি কথা বলার আছে, আর সেটি হল আমাদের একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি মরিওপলের লক্ষাধিক বাসিন্দাকে পুরোপুরি বের হওয়ার সুযোগ দিতে এবং আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা আমাদের সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’ তবে আজভস্টলে আটক সৈন্য ও নাগরিকদের বিষয়ে রাশিয়া এখনও কোনও কিছু জানায়নি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রায় দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হয় মারিওপলে। শহরটি দখলের কথা বিশ্বকে জানান পুতিন। বলেন, রুশ সেনারা মারিওপল ‘স্বাধীন’ করেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই মাসের সামরিক অভিযোনে প্রথম বড় কোনও ইউক্রেনীয় শহর দখল করে রাশিয়া। যদিও এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ অসামরিক মানুষজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো। পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে খবর প্রকাশ করছে।