পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ প্রতিদিন প্রায় ২০০ ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিচ্ছে রাঁচির রুটি ব্যাঙ্ক। রাঁচির সরকারি রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে আগত দরিদ্র লোকদের ক্ষুধা মেটাচ্ছে এই অভিনব ফুড ব্যাঙ্ক। বিয়াল্লিশ বছর বয়সী বিজয় পাঠক গত আড়াই বছর ধরে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জনকে বিনামূল্যে ঘরে তৈরি খাবার পরিবেশন করছেন। যার পুরো খরচ নিজেই বহন করেন, কখনও কখনও অন্যদের কাছ থেকে খাদ্যশস্য গ্রহণ করেন। বিজয় জানিয়েছেন খুব ছোট্ট পরিসরে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন ফুটপাতে ঘুমন্ত মানুষের জন্য তখন তাঁরা খাদ্যের সংস্থান করতে পেরেছিলেন। বিজয় আরও বলেন এই ধারণা তার মাথায় এসেছিল যখন তার বাবা প্রায় এক মাস ধরে রিমস-এ ভর্তি ছিলেন। বিজয়ের কথায় “আমার বাবা ১৬ বছর আগে রিমস-এ ভর্তি হয়েছিলেন। খাবার কেনার টাকা না থাকায় অনেককে খালি পেটে ঘুমাতে দেখেছি। তখনই আমি প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম যে যখনই আমি সক্ষম হব, আমি বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করব”।
আজ সেই প্রতিজ্ঞা রাখতে পেরে তিনি খুশি। প্লেট প্রতি ২০ টাকা খরচ হয়। তিনি বলেন রুটি ব্যাঙ্ক রাঁচি ১ মার্চ, ২০২০ এ মহামারী প্রাদুর্ভাবের ঠিক আগে চালু হয়েছিল। অন্য কারুর থেকে কোন সহায়তা নেননা বিজয়। তাঁর কথায় অনুদান গ্রহণ করলে তাঁর সেবার আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হতে পারে। রাঁচি শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে বেঁচে যাওয়া খাবারও সংগ্রহ করেন বিজয়। কোন মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন সেটাই দেখেন বিজয়। স্বামীর চিকিৎসার জন্য পালামৌ থেকে আসা পার্বতী দেবী বিনামূল্যের খাবার পেয়ে খুব খুশি ।তিনি বলেন “যেহেতু আমার কাছে হোটেলে খাবারের সামর্থ্য নেই, রুটি ব্যাঙ্ক রাঁচি আমাকে গত দুদিন ধরে খাওয়াচ্ছে।” বিজয় পাঠকের এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ব্যবসায়ী মধুকর শ্যাম। শ্যামের কথায় বিজয় যে কাজ করছেন তার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। এগিয়ে চলুন বিজয়, আমরা সকলে তার পাশে আছি।