পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছাল ১৪.৫৫ শতাংশে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার পাইকারি মূদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১এর নভেম্বর থেকে টানা ১২ মাস ধরে এই হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স’ বা পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির সূচক রয়েছে দুই অঙ্কে। যা কখনই দেশের সুস্থ অর্থনীতির পরিচিতি দেয়না। এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে গত নভেম্বরে প্রকাশিত পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৪.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১৩.১১ শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৮৯ শতাংশ। এদিকে, সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মুদ্রাস্ফীতির হারে সেই অর্থে প্রভাব পড়েনি। এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.১৯ শতাংশ। মার্চে তা কমে দাঁড়ায় ৮.০৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৬.৯৩ শতাংশ। মার্চে সেই হার কিছুটা কমে হয় ১৯.৮৮।
দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৯৫ %। মার্চ মাসে তা ছিল ৬.০৭ %। অর্থাত মাত্র একমাসে এই মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে প্রায় এক শতাংশের কাছাকাছি। পাইকারি এবং খুচরো উভয় যেভাবে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি তাতে বাজারে সব্জির দাম যে আরও বাড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আরবিআই জানিয়েছে আরও বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতি। এমনকি জিডিপির যে সম্ভাব্য হার তাতেও পড়বে প্রভাব।
আরবিআই আরও জানিয়েছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে জিডিপির হার কমে দাঁড়াতে পারে ৭.৪ শতাংশ থেকে ৭.২। মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৫% থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫.৭%। তবে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কথাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।একে বিগত দু বছর ধরে করোনা মহামারীর ধাক্কা বেসামাল করে দিয়েছে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোকে। এরসঙ্গে দোসর হয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। পেট্রোপণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি। নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় আমজনতার। এরপর যোগ হল পাইকিরি মুদ্রাস্ফীতির অবনমন।