পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লখিমপুর কাণ্ডে নয়া মোড়! জামিন বাতিল হয়ে গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশিস মিশ্র টেনির। তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, লখিমপুর কাণ্ডে জামিন দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ সোমবার তা বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র টেনিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত৷ এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। বিস্তর নাটকের পর গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র টেনিকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
১০ ফেব্রুয়ারি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পান আশিস মিশ্র৷ সেদিন উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা ভোট ছিল৷ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান কৃষকরা৷ তার ভিত্তিতে এই নির্দেশ৷ এ দিন ইলাহাবাদ হাইকোর্টকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট৷ কড়া ভাষায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত জানিয়েছেন, হাইকোর্ট ‘প্রয়োজনীয় বিষয়কে অগ্রাহ্য করে ভিত্তিহীন পর্যবেক্ষণের উপর’ জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল৷ হিংসার শিকার যাঁরা হয়েছেন তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়নি৷ যদিও আশিস মিশ্রের সামনে ফের জামিনের আবেদন করার পথ খোলা আছে৷ তবে সেই আবেদনের শুনানি হবে পৃথক বেঞ্চে৷ এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন অসংখ্য কৃষক পরিবার। যার জেরে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ।
৩ অক্টোবর লখিমপুরের খেরি এলাকায় সেদিন এসইউভি গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল চার জন কৃষকের। উত্তেজনার রেশ ছড়ায় গোটা দেশ জুড়েই।
এই ঘটনার নাম উঠে আসে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রর। লখিমপুর-কাণ্ডে ফরেনসিক রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই কার্যত কাঠগড়ায় উঠে আসে মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্র টেনির নাম। ঘটনায় মৃতদের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনও চিহ্ন না মিললেও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলিতে গুলির ক্ষত চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।