পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রবিবার রামনবমীর সকালে মহারাষ্ট্র মহানির্মান সেনার চারকর্মীকে আটক করল মুম্বই পুলিশ।দাদারে শিবসেনা সদর দফতরের সামনে লাউডস্পীপকার চালিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
একটি ট্যাক্সির ছাদে প্রথমে বাঁধা হয় লাউডস্পিকার। এরসঙ্গে রাখা হয় ভগবান রামের ছবি এবং এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরের ছবি সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড ছিল, যার উপর “শ্রী রাম রথ”। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শিবাজি পার্ক থানার পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় লাউডস্পিকার। আটক করা হয় চারজনকে।পুরো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে বলেছেন “এটি আসলে একটি “মৃত দল”কে পুনরুজ্জীবিত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।’’ আদিত্য আরও বলেন । আমাদের হিন্দুত্বের সংজ্ঞা সবাই জানেন । আমরা (নির্বাচনের সময়) জনগণের কাছে যাযা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা তা পূরণ করব,”
উল্লেখ্য গত ২ এপ্রিল, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি বন্ধ না হলে, “মসজিদের বাইরে বেশি পরিমাণে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ করা হবে। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এমএনএস প্রধানের এই হেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে জানিয়েছিলেন যে কাউকে খুশি করার জন্য বিভাজনমূলক বিদ্বেষ রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া কখনই কাম্য বলে বিবেচিত হতে পারেনা।
রাজ অবশ্য এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারেরও সমালোচনা করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সামনেই বৃহমুম্বই পুরসভার নির্বাচন। এই সময়ে আসলে রাজের মহারাষ্ট্র নির্মান সেনা বিজেপির সঙ্গে জোট করে নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে চাইছে। এই কারণেই জরুরি হয়ে পড়েছে আজান বনাম হনুমান চালিসার রাজনীতিকে সামনে আনার। গোটা দেশ জুড়ে এই একই ধর্মান্ধতার তাস খেলে চলেছে বিজেপি