পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লড়াইটা তাঁর সহজাত। ক্রিকেটের ২২ গজ থেকে রাজনীতি। একের পর এক বল ডাক করলেন, রান আউট করলেন স্পিকারকে কিন্তু নট আউট থেকে ক্রিজ ছাড়া সম্ভব হলোনা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। রবিবার ভোর রাতে ১৭৪-০ ভোটের ব্যবধানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, ৩৭২ আসন বিশিষ্ট পাক অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার ১৭২। এরপরই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগ করেছেন ইমরান।
অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে যাওয়ার আগের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছেড়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেন ইমরান খান।
দিনভর নাটকীয়তার পর শনিবার রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্যদিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে সরকারি বাসভবন থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তিনি বেরিয়ে যান। কারণ পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগের পর তিনি ধরে নিয়েছেন অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটের ফলাফল তার অনুকূলে নাও আসতে পারে। তাকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছাড়তে হবে।
কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ভোটাভুটি শেষে প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ইমরান খান ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পেলেও তিনি ৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিন অফিসে ছিলেন।
এর আগে পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টো এবং শওকত আজিজ অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে তারা দুজনই জয়ী হন। শনিবার পাকিস্তান সময় রাত ১২টায় সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
সরদার আয়াজ সাদিক সংসদের প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ভোট গ্রহণ শুরু করেন। তার আগে স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগ করেন। ইমরান খানের দলের সংসদ সদস্যরাও ওয়াকআউট করেন।