পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শেষ বল পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়েন না। বার বার সে কথা বলেছেন ইমরান খান। তাঁর আত্মবিশ্বাস প্রবল। সততা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তিনি পারবেন পাক কুর্সিতে টিকে থাকতে। এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। যদিও আজকেই ‘দুধ কে দুধ পানি কা পানি’ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইমরান মানেই সাসপেন্স। চোয়াল শক্ত করে অপেক্ষা। তাই ইসফপার ওস্পার যে হবে তাও যেন বলা যাচ্ছে না বুক ঠুকে। ইমরান অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে তিনিই হবেন প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। কিন্তু ইস্তফা দিলেন না।
ইমরান স্পষ্ট বলেছেন, তাঁকে সরানোর জন্য বিদেশী ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি যে আমেরিকাকে নিশান করছেন সেকথাও তিনি বুঝিয়ে দেন। ইমরান খান শুক্রবার মন্ত্রিসভা এবং সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকেন। অনাস্থা ভোটের ঠিক আগের দিন তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনগণ আমার সঙ্গে আছেন। শুক্রবার এক পাক সিনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, ইমরান খানকে সরাতে আদৌ বিদেশী ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা তা দেখতে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই কমিশন গঠিত হয়েছে। তবে এই কমিশন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল তারিক খান। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এই ঘোষণা করার পরপরই কমিশন থেকে প্রত্যাক্ষানের কথা জানান অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
আপাতত যা পরিস্থিতি তা দেখে মনে হচ্ছে ইমরানের কুর্সিতে থাকা অসম্ভব। ইমরান যে সব অভিযোগ সামনে এনেছেন তা যদি সত্যি হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা রোখে সাধ্য কার ! ইমরান বলেছেন যাদের পাক কুর্সিতে বসানোর ষড়যন্ত চলছে তাদের সবার বিদেশের ব্যাংকে টাকা পরে রয়েছে। ফলে তাদের কন্ট্রোল করতে বিদেশি শক্তির অসুবিধা হয় না। কেবল অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার হুমকি দিলেই চলে। ফলে এমন শাসকদের কুর্সিতে বসিয়ে রাখা মানে তারা তাঁবেদার করে রাখা। ইংরেজ যেভাবে মীর জাফর ও মীর সাদিককে দিয়ে সিরাজ ও টিপুকে পরাজিত করেছিল সেই একই পথ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ ইমরান খানের। তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে বিরোধীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায় সহ বাকি সব কিছু দেখার পর মনে হচ্ছে না যে ইমরানই থেকে যাবেন পাক কুর্সিতে। তবে কুরসী থেকে সরলেও তিনি দেশবাসীর সামনে বিরোধী নেতাদের মুখোশ খুলে দিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।