পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভূমধ্যসাগরের দুর্ঘটনা, প্রাণহানি কমপক্ষে ৯৬ জন শরনার্থীর। লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরুর পরে প্রায় ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এএফপি আজ সোমবারের এক প্রতিবেদনে নৌকাডুবির এ খবর জানিয়েছে। ‘গত শনিবার ভোরে আলেগ্রিয়া-১ নামের বাণিজ্যিক একটি ট্যাংকার চারজনকে উদ্ধার করেছে। আলেগ্রিয়া-১-এর সঙ্গে যোগাযোগও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়ার ওই ৪ ব্যক্তি প্রায় ১০০ মানুষকে নিয়ে একটি নৌকায় অন্তত ৪ দিন সমুদ্রে থাকার কথা জানিয়েছেন।’
এএফপি ট্যাংকারের সঙ্গে যোগাযোগের নথিটি দেখেছে। নথিতে ট্যাংকার কর্তৃপক্ষ বলেছে, জলে ডুবে প্রায় ৯৬ জন মারা গেছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ভূমধ্যসাগরে আরও একটি ট্র্যাজেডিতে ৯০ জনের বেশি মারা গেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীপ্রধান টুইট করেছেন, ‘ইউরোপ উদার ও কার্যকরভাবে ইউক্রেন থেকে ৪০ লাখ শরণার্থীকে সাদরে গ্রহণ করে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে।’
জাতিসংঘ সূত্রে খবর, প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে হাজার হাজার শরনার্থী এইভাবেই মৃত্যু হয়। মূলত লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়ে থাকেন এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এটাই এখন হয়ে উঠেছে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের প্রধান রুট। সর্বশেষ এই ট্র্যাজেডির আগে জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ৩৬৭ জন মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে। ২০২১ সালে এই ধরনের মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৮ জনের।