পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিশাসিত মধ্য প্রদেশের রেওয়া জেলায় ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবার একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অ্যাম্বুলেন্স না এলে ওই বৃদ্ধার চার মেয়ে খাটসহ তাঁকে কাঁধে তুলে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান। যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরও তাদের কষ্ট কমেনি, কারণ অ্যাম্বুলেন্সের পর ওই বৃদ্ধার লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য শববাহী গাড়িও পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃদ্ধা মায়ের লাশ খাটের ওপর নিয়ে চার মেয়ে দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৫ কিলোমিটার দূরে তাদের বাড়িতে পৌঁছন। তাদের সঙ্গে এ সময়ে একটি ছোট শিশুও ছিল।
ঘটনাটি রেওয়া জেলার মহসুয়া গ্রামের। এখানে বসবাসরত মোলিয়া কেওয়াতের (৮০) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চার মেয়ে তাদের রায়পুর কারচুলিয়ান কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে তার নাড়ির স্পন্দন অনুভূত না হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড়ির লোকজন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসকদের কাছে শববাহী গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলেও কেউ তাতে রাজি হননি। এরপর বৃদ্ধের লাশ খাটের ওপর রেখে মেয়েরা বাড়ির দিকে রওনা দেয়।
মৃতের ৫ মেয়ে রয়েছে। স্বামী আগেই মারা গিয়েছিল। মেয়েরা মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। লাশ নিয়ে ফেরার সময় মেয়েরা পথে রায়পুর কারচুলিয়ান থানাও পেয়েছিল, কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। এ সময়ে কিছু বাইক আরোহী খাটের উপর লাশ বহন করতে দেখে তাদের কাছ থেকে খবর নেয়। তারা সিস্টেমের বাস্তবতাকে ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল করে দেন।
রায়পুর চরচুলিয়ান সিএইচসিতে কোনও শববাহী যান নেই বলে দাবি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধুমাত্র রেডক্রসই জেলা সদরে শববাহী বাহন দেয়। অন্য জায়গায় লাশ বহনের ব্যবস্থা নেই। শুধু রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। মৃত্যুর পর লাশকে তাদের নিজেদের উদ্যোগে নিয়ে যেতে হবে।