পুবের কলম প্রতিবেদক: দিনের দিন সিরিয়ায় জুলুম চলছে। কেউ ইনসাফের কথা বলেনি। দূর থেকে দেখেছে সিরীয়দের ওপর নির্মম অত্যাচার। দখলদার মার্কিন সেনারা সিরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, অপরিশোধিত তেল এবং কৃষিজাতপণ্য লুটপাটের ঘটনা অব্যাহত রাখায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভানচি এই নিন্দা জানিয়ে সিরিয়া থেকে দখলদার মার্কিন সেনাদের দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন সেনাসহ সমস্ত বিদেশি সেনাকে দ্রুত এবং নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।
মাজিদ তাখতে রাভানচি বলেন, সিরিয়ার যে সমস্ত এলাকায় মার্কিন সেনারা দখলদারিত্ব কায়েম করেছে সেসব এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেল এবং কৃষিজাতপণ্য লুটপাট করছে। ইরান তার সম্পূর্ণ নিন্দা জানাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবের চরম লঙ্ঘন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে মাজিদ তাখতে রাভানচি একথা বলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দখলদার বিদেশি সেনারা না সরা পর্যন্ত সিরিয়া সংকটের সমাধান হবে না। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের নামে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডত্বকে বিপদে ফেলা হয়েছে। এখন আর তার সুযোগ দেওয়া যাবে না । ফলে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাসহ সমস্ত বিদেশি ও দখলদার সেনা প্রত্যাহার একান্তই অপরিহার্য। এক্ষেত্রে কোনো পূর্বশর্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
সিরিয়ার পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনী দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। পেন্টাগন দাবি করে আসছে, এসব অঞ্চলের তেল যাতে আইএস সন্ত্রাসীদের হাতে না পড়ে সেজন্য তারা সেখানে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। কিন্তু দামেস্ক সরকার বলছে, দেশের তেল সম্পদ লুটপাট করার জন্য আমেরিকা এসব জায়গায় দখলদারিত্ব কায়েম করেছে।যখন রাশিয়া ইউক্রেন নিয়ে পশ্চমিরা মানবিকতার বুলি কপচাচ্ছে তখন সিরিয়ায় মার্কিন দখলদারি নিয়ে তারা চুপ করে রয়েছে। কারণ এই দখলদারিতে রয়েছে স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই পশ্চিমাদের মুখে কুলুপ।
তাদের যত তম্বি-হম্বি রাশিয়াকে নিয়ে। সিরিয়ার ওপর জুলুম করতে ছাড়েনি কেউ। দিনের পর দিন নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছে সিরীয়দের। একদিকে অসংগঠিত সন্ত্রাস অন্যদিকে পরাশক্তির সন্ত্রাসের সঙ্গে যুঝে উঠতে পারেনি তারা। রবারের নৌকায় চেপে পালিয়েছে। কত যে মরেছে তার ইয়ত্তা নেই। আজ পশ্চিমা মিডিয়া ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার দখলদারি নিয়ে কেঁদে অস্থির।কিন্তু আমেরিকা যে সিরিয়ায় দিনের পর দিন দখলদারিত্ব চালাচ্ছে তা নিয়ে তাদের মুখে কোনও কথা নেই।