পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনে সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তা সত্ত্বেও পূর্ব পরিকল্পনামাফিক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে রাশিয়া। ফলে দেশটি থেকে তেল-গ্যাস আমদানি ওপর বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইইউ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তেল ও গ্যাস। যার ওপর ইউরোপ বহুলাংশে নির্ভরশীল। রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে বড় রকমের জ্বালানি সংকটে পড়তে পারে পুরো ইউরোপ। এ আশঙ্কা থেকে এতদিন তেল-গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থেকে বিরত ছিল ইইউ।
এবার রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন ইইউ এর বিদেশী নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ। তবে তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে তা ইউরোপের জ্বালানি সংকটকে তীব্র করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই আমেরিকা এবং ইইউ রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তার সদস্য রাষ্ট্রগুলো র কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে রাশিয়ার ওপর তেল নিষেধজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ব্রাসেলস বৈঠকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ ইইউ’র রাষ্ট্র রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, ইউক্রেন সংকট আরো খারাপের দিকে যেতে থাকলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞায় কোনও ‘বাধা’ থাকা উচিত নয়।