রেজাউল করিম– মোথাবাড়ি জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা জি-৯ কলার চাহিদা বাড়ছে গোটা জেলা জুড়ে। আপাতত এখানকার উৎপাদিত কলা জেলা-সহ ঝাড়খন্ড– বিহারে রফতানি হচ্ছে। বিদেশে রফতানি করারও পরিকল্পনা রয়েছে জেলা উদ্যান পালন দফতরের। নতুন চাষ বলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সচেতন করে বিনা পয়াসায় চারা প্রদান থেকে সার– কীটনাশকও বিলি করা হচ্ছে। এই প্রজাতির কলা বিদেশে রফতানি করারও সুবিধে রয়েছে। পাশাপাশি অধিক মুনাফাও করছেন চাষিরা। জেলা উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে এ বছর কলাচাষে ১০০ হেক্টর এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রায় ৬৫০ চাষি উপকৃত হচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে এই জেলায় জি-৯ কলা চাষ করা হচ্ছে। চারা লাগানোর পর সাড়ে ১১ মাসেই গাছ থেকে কলা পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি সব খরচ বাদ দিয়ে চাষিরা একেকটি গাছে ২৫০ টাকা করে লাভ করতে পারছেন। সর্বোপরি সারা বছর ধরে কলা পাওয়া যায় এই প্রজাতির গাছে। আপাতত জেলা উদ্যান পালন দফতর থেকে বিনা মূল্যে চারা বিলি করা হচ্ছে। এমনকি প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকও বিলি করা হচ্ছে।
গত বছর এই প্রজাতির কলার চারা লাগিয়ে উপকৃত হয়েছেন পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিrদা এনতাজুল হক। তিনি জানান– ‘অন্যান্য কলার থেকে সুস্বাদু এই জাতের কলা। চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। বেশ মুনাফা হচ্ছে। আমার বাগান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আমার জমির কলা যাচ্ছে ইংলিশবাজারে– আমবাজারে– ঝাড়খন্ড– বিহারের পূর্ণিয়ায়। আমাকে দেখে অন্যান্য চাষিরাও এগিয়ে আসছেন।’
জেলা উদ্যান পালন দফতরের উপ অধিকর্তা সামন্ত লায়েক জানান– ‘জি-নাইন কলা উন্নত জাতের এক প্রজাতির কলা। লাভজনক চাষ। তাছাড়া বিদেশেও রফতানি করার সুবিধে রয়েছে। এক বিঘা জমিতে ৪০০ গাছ লাগানো যায়। চারা লাগানোর সাড়ে ১১ মাসেই কলা পাওয়া যায়। পাশাপাশি ওই জমিতে স্বল্প মেয়াদি ফসলও চাষ করা যায়। বিনা পয়সায় আমরা এই চারা চাষিদের বিলি করেছি। ’