পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ বিশ্ব সুখী দিবস। ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস বা বিশ্ব সুখী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ২৮ জুন ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এ দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একাধিক দেশে দিবসটি নানাভাবে পালিত হয়ে থাকে। দিনটি পালন সংক্রান্ত বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাবে বলা হয় মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হল সুখে থাকা। ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ জেম এলিয়েন।
এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত হয়েছে সুখী দেশের তালিকা। সেই তালিকায় মোট ১৪৬টি দেশের নাম রয়েছে। ভারত রয়েছে ১৩৬ নম্বর স্থানে। আর আগের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ১৪০ নম্বরে। তার আগে ছিল ১৩৩ নম্বরে। এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তির ওপরে। ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানও। তবে আগে বাংলাদেশের স্থান ছিল ৯৩ নম্বরে। যদিও বাংলাদেশ সেখান থেকে এক ধাপ নেমে এসেছে। এবারের তালিকায় দেশটি স্থান পেয়েছে ৯৪ নম্বরে। ১২১ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তানের নাম। নতুন তালিকায় ভারতের থেকে এগিয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। তবে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে এই তালিকায় প্রতি বছর সবচেয়ে এগিয়ে থাকে ভুটান। এবার অবশ্য এই দেশটিকে তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। কারণ সে দেশে সমীক্ষা চালানো যায়নি এবারে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কোভিডে ধুঁকতে থাকা চিনের স্থান হয়েছে ৭২ নম্বরে। আগের সমীক্ষায় চিন ছিল ৯৩ নম্বরে। ১৪৬টি দেশের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তার একেবারে তলায় রয়েছে আফগানিস্তান।
আমেরিকা রয়েছে ১৬ নম্বরে, আর ইংল্যান্ড ১৭ ও জার্মানির স্থান ১৪ নম্বরে। ফ্রান্স ২১-এ।
তবে তালিকায় এবারেও একেবারে প্রথমে রয়েছে ফিনল্যান্ড। এই নিয়ে পঞ্চমবার শীর্ষস্থান ধরে রাখল এই দেশটি। ফিনল্যান্ডের পরে এই তালিকায় রয়েছে ডেনমার্ক, সুইৎজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন। ইউক্রেন রয়েছে ৯৮ নম্বরে। রাশিয়া ৮০ নম্বরে।
তবে রিপোর্টটি যখন তৈরি হয়, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়নি।
জানা গেছে, এই তালিকা বানানোর জন্য যে বিষয়গুলি নজরে রাখা হয় তা হল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক অবস্থান, কাজ করার স্বাধীনতা, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি। সেইগুলি সমীক্ষা চালিয়ে নিয়েই তৈরি হয় তালিকা। গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা, সরকারের উপর আস্থা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশার মতো বিষয়গুলি। সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরি করে অক্সফোর্ডের ‘ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টার’, ‘সেন্টার ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট’, ‘ভ্যাঙ্কুভার স্কুল অব ইকোনমিক্স’-এর মতো প্রতিষ্ঠান। তার পরেই বানানো হয় তালিকা।