পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ প্রিভেনশন অফ মব ভায়োলেন্স অ্যান্ড মব লিঞ্চিং বিল, ২০২১, (গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল-২০২১)-এ পাসে সম্মতি দিলেন না ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস। ফলে আটকে গেল এই বিল। দুটি আপত্তি তুলে এই বিল ফিরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল বাইস।
তিন মাস আগে ধ্বনি ভোটে বিধানসভায় (গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল) পাস হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই আপত্তির কারণ এখনও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নজরে আনা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পিটিয়ে খুন বা মব লিঞ্চিংয়ের ঘটনা সামনে আসে তারবেজ আনসারি খুনের মাধ্যমে। চুরির সন্দেহে সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার ধাতকিডিহ গ্রামে একটি বিদ্যুৎ খুঁটির সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দেওয়া হয় তারবেজকে। তাকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে জোর করা হয়। এর পরেই তারবেজ-এর উপরে চলে অকথ্য অত্যাচার। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিধানসভায় অ্যান্টি মব লিঞ্চিং বিলের একটি সংশোধনী আলোচনায় বিজেপি বিধায়ক অমিত কুমার মন্ডল “মব” শব্দের সংজ্ঞা এবং এর সম্ভাব্য অপব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরেন। বিজেপি বিধায়কেরা হেমন্ত সোরেনের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ আনেন মুখ্যমন্ত্রী তুষ্টির রাজনীতি করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়কদের পালটা উত্তর দিয়ে বলেন, বিজেপি মানুষকে শুধু বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের সামনে হেমন্ত সোরেন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, আসলে ‘বিজেপি হল বুদ্ধিজীবী মানুষ’, যাদের কাজ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
সেই সময় সোরেন বলেন, মব লিঞ্চিং কোনও হিন্দু, আদিবাসী, মুসলিম লিঞ্চিং অ্যাক্ট নয়। মব লিঞ্চিং হল শুধুই মব লিঞ্চিং-
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল বা প্রিভেনশন অফ মব ভায়োলেন্স অ্যান্ড মব লিঞ্চিং বিল পাস হয়। সেই বিলে সম্মতির জন্যই রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাহার করে দিলেন।